শনিবার ভোরে কলকাতা শহরে পা রেখেছেন বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। তবে তাঁর সঙ্গেই বিমানবন্দরে দেখা যায় আরেক তারকা ফ্লোরেন্টিন পোগবাকে। বিমানবন্দরে উপস্থিত মোহনবাগান সমর্থকরাও চমকে উঠলেন তাঁকে দেখে। পোগবাকে তো ছেড়ে দেওয়ার কথা, তা হলে কলকাতায় কী করছেন তিনি?
কেন কলকাতায় পোগবা?
পোগবা কেন কলকাতায় এলেন তা নিয়ে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় কৌতূহল। অনেকেই অনেক কথা বলতে থাকেন। আসলে আরও এক বছর মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে পোগবার। মোহনবাগানের সব বিদেশি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আক্রমণে দিমিত্রি পেত্রাতোস এই মরশুমেও রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে বিশ্বকাপ খেলা জেসন কামিন্স। সই করেছেন সাদিকুও। মাঝমাঠের দায়িত্ব সামলাবেন হুগো বুমোস। দারুণ খেলেছেন তিনি। রক্ষণে বিদেশি কোটায় কার্ল ম্যাকহিউয়ের সঙ্গেই থাকবেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। ছয় বিদেশির কোটা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় জনি কাউকোকে আনরেজিস্টার্ড হিসাবে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শোনা গিয়েছিল পোগবাকে হয়ত ছেড়েই দিচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টস। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি এখনও বাগানের ফুটবলার। দলের যে হোয়াটসআপ গ্রুপ রয়েছে, সেখানেও তিনি রয়েছেন। গ্রুপে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার বার্তা পেতেই কলকাতায় চলে আসেন পোগবা। গত মরশুমে পল পোগবার দাদাকে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সই করায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।
তাঁকে মোহনবাগানের ক্যাপ্টেনও করে দেওয়া হয়। তবে গত মরশুমে তিনি একেবারেই ভালো খেলতে পারেননি। প্রথম একাদশেও জায়গা হয়নি বিশ্বকাপ জেতা তারকা ফুটবলারের দাদার। এর সঙ্গে যুক্ত হয় চোট সমস্যাও। ফলে তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হন মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর জায়গায় জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে সই করানো হয় স্লাভকো ডামজানোভিচকে। সবুজ-মেরুনের আইএসএল জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন তিনিও। শনিবার দুপুরে দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুশীলনও শুরু করে দেন মোহনবাগান ডিফেন্ডার।
আসন্ন মরশুমের জন্যর শক্তিশালী দল গড়েছে সবুজ মেরুন। অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স, সাদিকুকে দলে নিয়েছে বাগান ব্রিগেড। ওপরদিকে তিরি, স্লাভকোভিচের মতন ফুটবলারকে এবার মরশুম শুরুতেই রিলিজ করেছে বাগান শিবির। চুরন্ত হয়ে গিয়েছে বাগানের ছয় বিদেশি। আর তারপরও কলকাতায় পোগবার ফিরে আসা নতুন করে জল্পনায় জন্ম দিয়েছে।