scorecardresearch
 

Mohun Bagan VS East Bengal: ডার্বিতে চোট পেয়ে হাসপাতালে মহেশ, কেমন আছেন ইস্টবেঙ্গল তারকা?

শনিবারের ডার্বি ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নাওরেম মহেশ সিং। ম্যাচের পরেও তাঁকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। তাঁর চোট গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই তুলে নেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গল তারকা।

Advertisement
নাওরেম মহেশ সিং নাওরেম মহেশ সিং

শনিবারের ডার্বি ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নাওরেম মহেশ সিং। ম্যাচের পরেও তাঁকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। তাঁর চোট গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই তুলে নেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গল তারকা।

হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল মহেশকে
শনিবার ম্যাচ চলাকালীনই স্টেডিয়াম সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহেশকে। যদিও রাতেই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। গোটা ম্যাচেই তাঁকে অনেক বার মোহনবাগান ফুটবলারদের ফাউলের শিকার হতে হয়েছে। তবে শেষদিকে যেভাবে তাঁকে চোট পেতে হয় তাতে তিনি পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ম্যাচে ব্যস্ত থাকায় খেলার শেষেও কুয়াদ্রাত নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না লাল-হলুদের তারকা ফুটবলারের ঠিক কি অবস্থা। কুয়াদ্রাত বলেন, 'শুনেছি ম্যাচ চলাকালীনই ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। ড্রেসিংরুমে দেখলাম না। জানি না এখন কী অবস্থা।'

চোট পেয়েছেন ক্রেসপোও
শুধু নাওরেম নন ডার্বি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের আরও এক তারকা সউল ক্রেসপোও চোট পেয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ চলাকালীন মোহনবাগানের আনোয়ার আলির সঙ্গে ডুয়েল হয় ক্রেসপোর। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার আনোয়ারকে কাটিয়ে বেরিয়ে যেতেই হ্যামস্ট্রিং পুল হয় মোহনবাগান ডিফেন্ডারের। আর সেই আক্রমণ শেষ করতে গিয়েই চোট পান ইস্টবেঙ্গলের ক্রেসপো। দুই ফুটবলারকেই পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন দুই কোচ। ক্রেসপোর জায়গায় খেলতে নেমে বেশ নজর কাড়েন বাঙালি সায়ন বন্দোপাধ্যায়। কিয়ান নাসিরিকে প্রায় নড়তে দেননি। বাধ্য হয়েই কিয়ানের জায়গায় মনবীরকে নামাতে হয় মোহনবাগান কোচ হাবাসকে। 

আরও পড়ুন

রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ
ডার্বি শেষ হওয়ার পরেই রেফারির উপর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দুই দলের কোচ। শনিবারের ডার্বিতে রেফারি ছিলেন রাহুল কুমার গুপ্তা। তাঁর বিরুদ্ধেই ম্যাচের শেষে বিস্ফোরক দুই কোচ। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের দাবি শেষ গোলের আগে ফাউল করা হয়েছিল নন্দাকুমারকে। তা দেখেননি রেফারি। আর অন্যদিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দাবি ইস্টবেঙ্গল যে পেনাল্টিটা পেয়েছে তা অবৈধ।

Advertisement

ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাত বলেন, 'ওটা ফাউল না? পাগল নাকি? আপনারা টিভিতে দেখে বিচার করবেন। আমি মাঠে থেকে পরিস্কার দেখেছি এই গোটা ঘটনাটা।' ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নন্দাকুমারকে পেছন থেকে ট্যাকেল করে বল কেড়ে নেন সাহাল আব্দুল সামাদ। সেখান থেকেই তাঁর করা ক্রস থেকে গোল করে যান দিমিত্রি পেত্রাতোস। ফের সমতা ফেরায় মোহনবাগান। অন্যদিকে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বল ছাড়াই পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই নাওরেম মহেশ সিং-এর ঘাড়ের উপর উঠে পড়েন ফাউল দীপক টাংরি। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। 

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাবাস বলেন, 'ওটা কোনওভাবেই পেনাল্টি ছিল না।' ম্যাচে চার গোল হলেও খেলায় সেই ঝাঁজ দেখা যায়নি। বারে বারে ফাউল খেলায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। আর ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে রাহুলকে। আইএসএল-এ প্রথম ডার্বিতে বদলা হাতছাড়া করেছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।    

Advertisement