বুধবার এসিএল-২-এর ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant) প্রতিপক্ষ তাজাকিস্তানের শক্তিশালী এফসি রাভশান (Ravshan Kulob)। প্রতিপক্ষ যেখানে সাতজন বিদেশি নিয়ে খেলতে নামবে, সেখানে মোহনবাগান খেলবেন মাত্র চারজন বিদেশি ফুটবলার। তবুও খেলার ধরনে কোনও বদল আনতে নারাজ মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা।
অস্ট্রেলিয়ান লিগে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেমি ম্যাকলারেনকে মোলিনা পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। ম্যাচের আগে মঙ্গলবারের প্র্যাকটিস শেষে তারকা স্ট্রাইকার যদিও বললেন, 'খেলার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি। এবার কোচ আর ডাক্তার বলতে পারবেন, আমাকে বুধবারের ম্যাচে খেলাবেন কি না।' এখানেই হয়েছে মূল সমস্যা। ম্যাকলারেনকে খেলানো হবে কি হবে না, সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না মোহনবাগান কোচও।
এসিএল-২ শুরুর মুখে বেশ চাপে মোলিনা বলেছেন, 'দিন দিন উন্নতি। করছে জেমি। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি ওকে খেলানো নিয়ে।' অনেকে বলছেন, চোট থেকে যেহেতু সেরে উঠেছেন, তাই তাজাকিস্তানের শক্তিশালী এফসি রাভশানের বিরুদ্ধে শুরুতেই নামানো হবে না। খুব বেশি হলে রিজার্ভে রেখে দেওয়া হতে পারে। সেরকম হলে দরকারে শেষ ১০-১৫ মিনিট ম্যাকলারেনকে দেখতে পারেন মোলিনা। ডিফেন্স নিয়ে সমস্যা অন্তত এ ম্যাচে থাকছেই। কারণ আলবার্তো রড্রিগেজের খেলা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ জানালেন, আলবার্তোর মতো ম্যাকলারেনও বুধবারের ম্যাচে অনিশ্চিত। আর সেটা নিয়েই চিন্তায় মেরিনার্স ফ্যানরা। ঘরের মাঠে পুরো তিন পয়েন্ট তুলতে না পারলে সমস্যা হবে সেটা ভালভাবেই জানে মোহনবাগান। তাই বাড়তি দায়িত্ব থাকবে জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোসদের উপর।
আলবার্তো খেলতে না পারলে ডিফেন্স নিয়ে সত্যিই সমস্যায় পড়বেন মোলিনা। যদিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি মানতে চাইলেন না ডিফেন্সের সমস্যা। নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার নুনো খুব সম্ভবত কলকাতায় আসবেন শুক্রবারের মধ্যে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেও চলে আসতে পারেন। তাতেও আলবার্তো আর নুনোকে পরবর্তী সময়ে খেলালে আক্রমণে মাত্র দু'জন বিদেশি খেলাতে পারবেন মোলিনা। ফলে আইএসএলে পরিকল্পনা মতো দলকে কিছুতেই খেলাতে পারবেন না মোহনবাগান কেড। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের সাত জন বিদেশিকেই খেলানোর সুযোগ থাকলেও, খেলাতে পারছেন মাত্র চার জনকে। ফলে মোলিনা চাইছেন, বুধবার ঘরের মাঠে সম্মানজনক ফল নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে।
তবে আইএসএলের সঙ্গে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার কোনও পার্থক্য হবে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে মোলিনা বললেন, 'আইএসএল খেলি অথবা এএফসি। দল তো একই থাকবে। তাই খেলার স্টাইলও একই। যদি দেখা যেত দুটো ভিন্ন প্রতিযোগিতায় আলাদ্য আলাদা দল খেলানোর সুযোগ আছে, তাহলে বলতাম, আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে খেলব।'