রিমুভ এটিকে-র (Remove ATK) দাবিতে সরব সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। কবে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) সামনে থেকে উঠবে এটিকে নাম? কর্তারা যাই বলুন এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka) এই বিষয়টা পাত্তাই দিতে নারাজ। মুখে নিজের দলের নাম মোহনবাগান বললেও, রিমুভ এটিকে নিয়ে একটাও শব্দ খরচ করতে নারাজ তিনি। সমর্থকদের কাছে পাশে থাকার আবেদন জানিয়েই এড়িয়ে গেলেন প্রশ্ন। অন্যদিকে এখনও সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।
ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএল-এর (ISL) প্লে অফের ম্যাচে জেতার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অন্য সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেও রিমুভ এটিকে নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। উল্টে বলেন, 'সমস্ত সমর্থকদের বলব, আমাদের সমর্থন করতে।' অন্যদিকে কিছুদিন আগেই মোহনবাগান কর্তারা জানিয়েছিলেন, বোর্ড মিটিং-এ নাকি এই ব্যাপারে কথা হয়েছে।
এ নিয়ে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, 'সময়মতো সবটাই হবে। এখন দরকার দলটাকে চ্যাম্পিয়ন করা। এরপর সেমিফাইনাল ম্যাচ। আর তারপর ফাইনাল। সকলে মিলে মোহনবাগানের পাশে দাঁড়ান। বাংলার ফুটবলের যা অবস্থা তাতে মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া জরুরী। আগে চ্যাম্পিয়ন হই তারপর বাকি সব দেখা যাবে।'
আরও পড়ুন: স্টিফেন-ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা, সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল কোচ কে?
ওড়িশার বিরুদ্ধে জয়ের পর সেমিফাইনালে হায়দরাবাদ এফসি-র মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচের আগে সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন দুই জনই। তবে এটিকে নাম মোহনবাগানের সামনে থেকে কবে উঠবে তা নিয়ে তাঁরা কিছুই জানাতে পারলেন না। ফলে মোহনবাগান সমর্থকদের একাংশ।
ওড়িশা এফসি-কে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল-এর (ISL) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। দুটি গোলের একটি এল হুগো বুমোসের (Hugo Boumos) পা থেকে। আরেকটি করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos)।
আরও পড়ুন: দিমিত্রি-হুগোর গোলে সেমিফাইনালে মোহনবাগান, চিন্তা বিশালের চোট
শনিবার ঘরের মাঠে দারুণ শুরু করেছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধেই গোল পেয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটা গোল করে দলের সমর্থকদের আশ্বস্ত করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথম গোল খাওয়ার আগে অবধি বেশকিছু আক্রমণ তুলে আনে ওড়িশা এফসি। যদিও এরপর খেলার রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয় মোহনবাগান। ফলে ম্যাচ জিততে সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের। ৩৬ মিনিটে গোল করেন বুমোস। ডানদিক থেকে পেত্রাতোসের নেওয়া কর্নার ভেসে আসে বক্সের মধ্যে। সেই বল কার্যত বিনা বাধায় পেয়ে যান মনবীর সিং। যদিও সেখান থেকে গোল হত না। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেই বল ফাঁকায় থাকা সতীর্থ বুমোসের কাছে ফ্লিক পাস করেন তিনি। সহজেই সেই বল গোলের মধ্যে রাখেন তারকা ফুটবলার।