প্রত্যাশা ভেঙে পড়লে যে কোনও মানুষের পক্ষে তা সহ্য করা কঠিন হয়। মানুষ হতাশ হয়ে পরে। এটা স্বাভাবিক। খেলার জগতে তা ব্যাতিক্রম নয় খেলার যারা সঙ্গে যুক্ত এ বিষয়টি তারা আরও বেশি করে বুঝবেন। ক্রিকেট-ফুটবল বাদে কোনও খেলা যখন আপনি জিততে চান এবং জিততে জিততে হেরে যান, তখন তার যন্ত্রণা যে কতটা কঠিন হয় এবং মেনে নেওয়া অসহ্য হয়ে পড়ে তারা ভালই জানেন, যাঁরা এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আপনাকে আবার সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে খাড়া হয়ে দাঁড়াতে হয়। ফের নতুন করে লড়াইয়ের জন্য রসদ জোগাড় করতে হয়।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২২, বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টের ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্স এর হয়ে ২৫ বছরের রিঙ্কু প্রায় জিতিয়েই দেবেন মনে হচ্ছিল। সেই সময় দিন রিঙ্কু সিংয়ের দৌলতে প্রায় ম্যাচে জয়ের কাছে গিয়েও কলকাতাকে মাত্র দুই রানা আগে থমকে যেতে হয়।
যখন রিঙ্কু সিং ১৫ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন, তখন ম্যাচ সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। ২৫ বছরের রিঙ্কু সিং কলকাতা নাইট রাইডার্স এর প্লে-অফের আশ বাঁচিয়ে রাখতে শেষ আশার কিরণ হিসেবে নেমেছিলেন। কিন্তু তিনি সীমারেখা পার করতে পারলেন না।
কলকাতা ম্যাচ হেরে যায় এবং সেই সঙ্গেই এইবারের মত কলকাতা নাইট রাইডার্স এর আইপিএল অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে। রিঙ্কু সিং অবাক হয়ে পড়েন, ম্যাচের পর দেখা যায় তাঁর অ্যাটিটিউড, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে নিয়েছে। যখনই তার উইকেট পড়েছে, তিনি যদি নীচে শটটি খেলতেন, তাহলে হাতে ক্যাচ হতো না। তাহলে কাহিনী অন্যরকম হতে পারতো।
কিন্তু রিং সিংয়ের গল্পে এমনটাই হয়েছে। যেখানে ক্রিকেটার হওয়ায়ই হতো না তাঁর। তিনি ঝাড়ুদারের চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ঠিক করেন তিনি ঝাড়ুদার হিসেবে জীবন অতিবাহিত করবেন না। তিনি ঝুঁকি নিয়ে ক্রিকেট খেলার দিকে মনোযোগ দেন। শেষমেষ তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে। গত তিন বছর ধরে রিঙ্কু সিং কলকাতা নাইট রাইডার্স এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বারবার ক্রিকেটের ময়দানে এসেছেন কিন্তু খেলার সুযোগ খুব কম পেয়েছেন। বরং তিনি তার সময় কেটেছে সাইডলাইনের ধারে। তবে সুযোগ যখন এবার পেয়েছেন, তিনি সুদে-আসলে পূরণ করে নিচ্ছেন। এবার আইপিএলে যে সমস্ত ক্রিকেটার নিজেদের কীর্তি স্থাপন করছেন, তার মধ্যে একজন রিঙ্কু সিং।