মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে ডিপিএল ম্যাচ চলাকালীন বেশ কয়েকবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে দু'বারই অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সাথে আক্রমণাত্মকভাবে বিতর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছে শাকিব আল হাসানকে। পা চালিয়ে স্টাম্পগুলিকে লাথি মেরে শাকিব ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন। একই সঙ্গে পরের বার হাত দিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে ফেলে দিয়েছিলেন শাকিব।
মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে তাকে এলবিডাব্লুউ আবেদন অস্বীকার করায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মহমেডানের অধিনায়ক শাকিব প্রথমে রেগে গিয়েছিলেন এবং বৃষ্টি নামার সাথে সাথে ষষ্ঠ ওভারের এক বল বাকি রেখে খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়ে দেওয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন তিনি।
শাকিবকে তিনটি ডিপিএল ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং উল্লিখিত ডিপিএল ম্যাচে তাঁর অনর্থক আচরণের জন্য বাংলাদেশের বোর্ড বিসিবি কর্তৃক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শাকিব যখন একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, তার স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে এই ঘটনাটি অলরাউন্ডারকে ভিলেনের চরিত্রে দেখানোর চক্রান্ত ছিল। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
"প্রধান বিষয়টি মিডিয়া কর্তৃক কেবল তিনি যে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তা তুলে ধরে দেখলে দুঃখ হয়। মূল বিষয়টি আম্পায়ারদের চলমান নজরকাড়া সিদ্ধান্তগুলি!" তিনি বলেছিলেন।
এক পক্ষ আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে তা স্বীকার করে নাজমুল হাসান বলেন, বিসিবি তাদের তদন্ত করবে। তিনি এও স্বীকার করেছেন যে সাকিবের উত্তেজনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
নাজমূল হাসান বলেছেন, "এটি আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ছড়িয়ে পড়েছে। আমি দেখছি শাকিবের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এটি বাংলাদেশের পক্ষে চরম অবমাননাকর। আমি মনে করি যে সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার কোন মানে নেই। এটি একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটি আমাদের করা ভাল কাজগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।"
তবে আম্পায়ারদের কোনও ভুল থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুপ্রসিদ্ধ শাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারদের এমন আচরণ মাঠে ও ২২ গজে করা উচিত নয় বলেই মনে করেন একাধিক ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ। এটা দেখতে খুবই খারাপ লাগে বলে মত ক্রিকেট প্রেমীদেরও।