সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, লিও মেসি মাত্র ১০ মিনিটেই সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যান লিও মেসি। আর তারপরই সেখানে তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির। জানা যাচ্ছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। তিনি নিজে মেসিকে আরও কিছুক্ষণ থাকার জন্য অনুরোধও করেন। ঠিক কী ঘটেছিল শনিবার?
কেন ১০ মিনিটে বেরিয়ে গেলেন মেসি?
বহু প্রতীক্ষিত মেসির কলকাতা সফর মাত্র ২২ মিনিটেই শেষ। স্বপ্নপূরণের জন্য যাঁরা হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে যুবভারতীতে উপস্থিত হয়েছিলেন, মেসিকে না দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা। শনিবার এক মেগা সকাল দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবলের শহর। তবে দুপুর গড়াতে না গড়াতেই তা চরম বিশৃঙ্খলায় পরিণত হল।
৫০ হাজার দর্শন এদিন উপস্থিত ছিলেন যুবভারতীতে। ৪, ৫, এমনকী ১২ হাজার টাকারও টিকিট কেটে দূর-দূরান্ত থেকে মেসি ম্যাজিক দেখার জন্য এসেছিলেন ফ্যানেরা। তবে ম্যাজিকের বদলে হল ম্যাসাকার। মাঠে ঢোকার পর মেসিকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয় দর্শকদের মধ্যে। তবে সেই উন্মাদনা মুহূর্তের মধ্যেই পরিণত হয় ক্ষোভে। কারণ সর্বক্ষণ মেসির চারপাশে ঘিরে থাকতে দেখা যায় VVIP অতিথি, রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের। সেলেবরা বারবার তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে, অটোগ্রাফ নিতে চলে আসেন সামনে। ফলে মেসির ঝলকটুকুও দেখতে পাচ্ছিলেন না দর্শকরা। বিরক্ত হচ্ছিলেন সকলেই।
মেসির চোখে-মুখে দেখা যায় বিভ্রান্তি। মাঠে হাঁটতে হাঁটতে বারবার থামতে হয় আর্জেন্টাইন তারকাকে। সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার আসছিল অনেকের থেকেই। কার্যত মৌমাছির চাকের মতো একটি ভিড় তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই এগোচ্ছিল। ফলে দর্শকরা মেসির নাগালও পাচ্ছিলেন না। প্রধান উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও সকলকে বারবার অনুরোধ করেন, 'দয়া করে মেসিকে একলা ছেড়ে দিন। মাঠ ফাঁকা করে দিন।' তবে তাঁর অনুরোধ পাত্তা দেননি কেউই। দর্শকদের মধ্যে বাড়ছিল ক্ষোভ। এরপরই কর্মসূচি কাটছাঁট করে মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি, সুয়ারেজ ও রড্রিগো ডি'পল।
সৌরভের অনুরোধ
স্টেডিয়ামে ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। লাইভমিন্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মেসিকে আর কিছুক্ষণ মাঠে থাকার জন্য অনুরোধ করেন দাদা। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, DGP রাজীব বিশ্বাস মেসির টিমের সঙ্গে কথাও বলেন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যাতে আর্জেন্টাইন তারকা আর কিছুক্ষণ মাঠে থাকেন। এরপরই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি মেসিকে অনুরোধ করতে শোনা যায়, 'আপনি আর কিছুক্ষণ থেকে গেলে খুব ভাল হয়।' তবে নিরাপত্তার খাতিরেই মেসিকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে নিয়ে যায় তাঁর টিম।