রিকালো হোর্তার গোলের সময় ম্যাচের বয়স পাচ মিনিট। শেষ ষোলোয় জায়গা আগেই পাকা হয়েছিল। কিন্তু গ্রুপের একনম্বর জায়গা পাকা করতে ড্র ছিল যথেষ্ট। এই অবস্থায় প্রথম পাচ মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষ দক্ষিন কোরিয়াকে পেছনে ফেলার মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা জয়ের আশা জাগিয়ে ছিলেন।
বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন
কিন্তু ওই পর্যন্তই। এক গোলে এগিয়ে থাকার সুবিধা ২৭ মিনিটে হাতছাড়া। কিম ইয়ং গোয়ান দক্ষিন কোরিয়াকে সমতায় ফেরান। তার আগে ১৮ মিনিটে দক্ষিন কোরিয়ার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। দুই দলই প্রথমার্ধের বাকি সময় আক্রমন হানলেও তা গোল করার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: পেনাল্টি মিস, মিলিয়ে দিচ্ছে মেসি-মারাদোনাকে
৬৪ মিনিট মাঠে ছিলেন পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই ম্যাচে কার্যত কোরিয়ান ডিফেন্ডারদের পায়ের ভিড়ে বন্দী হয়ে রইলেন। গ্রুপ এইচ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে লড়াইটা মূলত উরুগুয়ে দক্ষিন কোরিয়ার মধ্যে। পরের পর্বে যেতে দক্ষিণ কোরিয়াকে জিততেই হবে। এই অবস্থায় বিরতির পরে একাধিক আক্রমন হানলেও শন,কিমরা গোলের মুখ খুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে হোয়াং গোল করে দক্ষিন কোরিয়ার জয় নিয়ে আসেন। অঘটনের বিশ্বকাপে পর্তুগালও পরাজয়ের ধাক্কায় পড়ল। তারা ২-১ গোলে দক্ষিন কোরিয়ার কাছে পরাজিত। এই জয় দক্ষিন কোরিয়াকে শেষ ষোলোয় পৌঁছে দিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে গ্রুপ অনুযায়ী পয়েন্ট টেবিল কেমন-নক আউটে কারা উঠছে?
অন্যদিকে ঘানার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের বিশ্বকাপের বদলা নিল উরুগুয়ে। একই সঙ্গে তারা শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করল। ১২ বছর আগে সুয়ারেজের হ্যান্ডবল করে গোল লাইন সেভ, লাল কার্ড দেখে তার বেরিয়ে যাওয়া এবং টাইব্রেকারে জয় ছিল নাটকীয়তায় ভরা। শুক্রবার অবশ্য ঘানাকে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় উরুগুয়ে। জি ডে অ্যারাসকেটা ২৬ মিনিট এবং ৩২ মিনিটে গোল করে দলের জয়ের পথ গড়ে দেন। কিন্তু দক্ষিন কোরিয়ার নাটকীয় জয় উরুগুয়েকে ছিটকে দিল। জিতেও বিদায় সুয়ারেজদের।
গোল পার্থক্য ছাপিয়ে কার্ড সংখ্যা কম দেখায় উরুগুয়েকে টেক্কা দক্ষিন কোরিয়ার। ২-০ গোলে জিতলেও গোল পার্থক্যের সুবিধা নিতে পারল না উরুগুয়ে। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিন কোরিয়া সেদিক থেকে ফিনিক্স পাখির মত উঠে এল।