India vs England, ICC T20 World Cupওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হওয়া T20 বিশ্বকাপ ২০২৪ এর দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল ম্যাচ হবে গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে। ভারতীয় দল এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে এই দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) এই দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখেনি। পরিবর্তে অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট (৪ ঘন্টা ১০ মিনিট) সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও ম্যাচ না হলে না হলে বাতিল করতে হবে।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর প্রথম সেমি ফাইনাল ম্যাচের জন্য একটি রিজার্ভ ডে রেখেছিল। তবে এর প্রয়োজন হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা খুব সহজেই আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। এখন এই প্রশ্নটা অবশ্যই ভক্তদের মনে জাগে যে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের জন্য কেন আইসিসি রিজার্ভ ডে রাখল না? এবার আইসিসি নিজেই এর উত্তর দিয়েছে।
রিজার্ভ ডে প্রসঙ্গে এই কারণ জানাল আইসিসি
আইসিসির মুখপাত্র জানিয়েছেন, দলগুলোকে যেন একটানা এ শহর থেকে অন্য শহরে যেতে না হয় সেজন্য দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে রিজার্ভ ডে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'দলগুলোর পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে দলগুলোকে একটানা 'গেম-ট্রাভেল-গেম' এমনটা করতে না হয়।'তিনি আরও বলেন, 'দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের জন্য অতিরিক্ত সময় (৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ এই ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০.৩০টায় (ওয়েস্ট ইন্ডিজের সময়), যেখানে প্রথম সেমি ফাইনালের সময়। সন্ধ্যা (একদিন আগে)। অর্থাৎ একই দিনে অতিরিক্ত সময়ে দুটি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়।
T20 বিশ্বকাপ 2024-এর প্রথম সেমি ফাইনাল ত্রিনিদাদে স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৬ জুন রাতে অর্থাৎ ভারতীয় সময় অনুযায়ী ২৭ জুন সকালে খেলা হয়েছিল। যেখানে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে সেমি ফাইনাল খেলা হবে ২৭ জুন স্থানীয় সময় সকাল ১০.৩০ টায় অর্থাৎ ভারতীয় সময় রাত ৮ টায়।
রিজার্ভ ডে থাকলে বিজয়ী দলের জন্য কঠিন হয়ে যেত
প্রথম সেমি ফাইনালের জন্য একটি রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল, যাতে এটি ২৭ জুন (স্থানীয় সময়) অনুষ্ঠিত হতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে তা সম্ভব হয়নি। যদি দ্বিতীয় সেমি ফাইনালটি সংরক্ষিত দিনে অর্থাৎ ২৮শে জুন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এই ম্যাচে যে দল জিতবে তাদের পরের দিন অর্থাৎ ২৯শে জুন ফাইনাল খেলতে বার্বাডোসে যেতে হবে।
ফলে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের বিজয়ী দলকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। এছাড়া তারা ফাইনালের আগে অনুশীলনের সুযোগও পাবেন না। সেমি ফাইনাল খেলার পরপরই তাদের বার্বাডোসে চলে যেতে হবে এবং খেলোয়াড়রা ঘুমানোর জন্যও সময় পাবেন না। এ কারণেই রিজার্ভ ডে-র বদলে অতিরিক্ত সময় রেখেছে আইসিসি।