অবশেষে অবসরের সিদ্ধান্ত বদল করলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। বৃহস্পতিবার অবসর ঘোষণা করার পর, শুক্রবার বাংলাদেশের প্রাক্তন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে আরেক প্রাক্তন অধিনায়ক ও সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও ছিলেন।
গণভবন থেকে বেরিয়ে তামিম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দুপুরবেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। ওনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটয়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন।‘
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন ডেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তার এই আচমকা অবসরে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। ভক্তরা রাস্তায় নেমে মানববন্ধনও করেছেন। কেউ যাতে যোগাযোগ করতে না পারেন, সে কারণেই হয়তো মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিলেন তামিম।
আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা সবাই ওর সঙ্গে বসেছিলাম এবং ও আপনাদের সামনেই বলে গেল, সে যে অবসরের চিঠিটা দিয়েছে সেটা সে প্রত্যাহার করছে। সে অবসর নেয় নাই, বলেন বোর্ড সভাপতি।’ গত ২০ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে জনপ্রিয়তার বিচারে শীর্ষ পর্যায়ের যে পাঁচজন ক্রিকেটারকে ধরা হয়, বা মিডিয়াতে যাদের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে উল্লেখ করা হয়, তাদের একজন: তামিম ইকবাল।
এই তালিকার বাকি চারজনের মধ্যে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানই এখনও তিন ফরম্যাটে খেলছেন, মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সীমিত ওভারের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ এখন শঙ্কায় এবং টেস্ট থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঠে এখন আর নেই মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, তবে মাশরাফি যেদিন অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে মাঠেই আনুষ্ঠানিক আয়োজন করে ক্রিকেটাররা ও সমর্থকরা বিদায় জানিয়েছেন ২০২০ সালে। মজার বিষয় হচ্ছে- সেই সিরিজেই তামিম ইকবাল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সর্বশেষ দুটি সেঞ্চুরি হাঁকান।