লন্ডনেও বজায় থাকল রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) দাপট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে (Borussia Dortmund) ২-০ গোলে হারিয়ে ১৫ তম বার চ্যাম্পিয়ন হল স্পেনের ক্লাব। এই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল করেন দানি কারভাজাল (Dani Carvajal) ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র (Vinicius jr)। তিন মরশুমে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল রিয়াল। ২০১৩ সালের পর ফের স্বপ্নভঙ্গ হল ডর্টমুন্ডের। শেষবার তারা এই ট্রফি জিতেছিল ১৯৯৭ সালে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বরাবরই রিয়াল খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। গত মরসুমে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি টেক্ষা দিলেও, এবার নিজেদের হারানো জায়গা ফেরত নিয়ে নিল রিয়াল। তবে তারা যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে তা বলা যাবে না। উল্টে বলতে হবে, গোটা ম্যাচ প্রাধান্য রেখেছে জার্মানির ক্লাবই। শুধু গোলমুখটা খোলা ছাড়া। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। প্রথম একটা ঘন্টা দাপট দেখায় ডর্টমুন্ড। সেই সময় অ্যান্টনি রুডিগাররা কোণঠাসা হলেও ডিফেন্স মজবুত রেখেছিলেন। গোল দুর্গ অক্ষত রাখতে পারায় মনে করা হচ্ছিল, যে কোনও সময় রিয়াল আঘাত হানবে। আর সেটাই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন রূপে হাজির আনচেলত্তির দল। মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল রিয়াল। ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করল কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রথমার্ধে হাতে গোনা কিছু সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। ডর্টমুন্ডের মতো তারাও গোল করতে পারেননি।
দেখুন গোলের ভিডিও
৫৭ মিনিটে বক্সের ভিতর থেকে কারভাহালের শট কোনও রকমে ঠেকান ডর্টমুন্ডের সুইস কিপার গ্রেগর কোবিয়াল। ৭৪ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ক্রুসের নেওয়া কর্নার কিক থেকে হেডে রিয়ালকে এগিয়ে দেন দানি কারভাজাল। শেষ ম্যাচে মহা গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট করা ক্রুস হন উৎসবের মধ্যমণি। ৮৩ মিনিটে আর আটকানো যায়নি ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। রক্ষণের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এই গোলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের জয়। শেষ পর্যন্ত বাকি সময়ে বরুশিয়া কোনও চমক দেখাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের উৎসবে মাতে মাদ্রিদের ফুটবলাররা।