তিন বঙ্গতনয়ার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে কার্যত গুড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। তিন বাঙালি ক্রিকেটার রিচা ঘোষ, ঋষিতা বসু ও তিতাস সাধু। এই ৩ ক্রিকেটারকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশিঙ্কর পাল। বাংলার তিন বিশ্বজয়ীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁদের প্রাক্তন কোচ।
শিবশঙ্কর বলেন, 'ঝুলনের পর মেয়েদের ক্রিকেটে আরও বাঙালি ক্রিকেটার উঠে আসছে। সেটা দারুণ ব্যাপার।' ফাইনালে দারুণ বল করেছেন বাংলার তিতাস সাধু। চার ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন বাংলার মেয়ে। কীভাবে তিতাসকে তুলে এনেছিলেন শিবশঙ্কর? সেই গল্পই শোনালেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার। শিবশঙ্কর বলেন, 'তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখার্জি আমায় জানায় ওর কথা। আমি পাঠাতে বলি। নেটে ওর বোলিং দেখি। ওর বোলিং দেখে আমার ভালো লাগে। এখন কিছু নিয়ম রয়েছে। সেটা মেনেছি। সেই সময় সিএবি সভাপতি ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। দেবব্রত দাস তখন সাধারণ সম্পাদক। সবার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের রাজি করাই। তারপর ওকে নেওয়া হয় দলে। তারপর থেকেই ভাল খেলছে ও।'
আরও পড়ুন: ভারতের মেয়েদের ইতিহাস, জিতল অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
তিতাসকে বাংলা দলে নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও কৃতিত্ব দাবি করতে নারাজ শিবশঙ্কর। তিবি বলেন, 'আমি কাউকে দলে নিতে পারি। তবে খেলার দায়িত্ব তো ওর। ও সেটাই দারুনভাবে করে গিয়েছে। আমরাও অনেক সময় ভুল করে ফেলি এটা ঠিক। ওরা ভাল খেলছে দেখলেই ভাল লাগে। মনে হয় ঠিক ক্রিকেটার নির্বাচন করেছি বলে।'
আরও পড়ুন: কীভাবে বিশ্বকাপ জিততে পারেন রোহিতরা? সৌরভের পরামর্শ...
বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে তিতাসের সঙ্গে কথা হয়নি শিবশঙ্করের। তবে তা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই বাংলার মহিলা দলের প্রাক্তন কোচের। তিনি বলেন, 'আমার সঙ্গে রিচা ছাড়া আর কারোর সঙ্গে কথা হয় না। দুই বছর আগে দায়িত্ব ছেড়েছি। তারপর থেকে খুব একটা কথা হয় না। তবে দেখতে ভাল লাগে ওরা ভাল খেলছে।'