বৃহস্পতিবারই জাতীয় রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। তবে দুই দিন যেতে না যেতেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে। তবে কেন এত তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়া হল সঞ্জয়কে?
কেন সরানো হল সঞ্জয়কে?
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচিত হওয়ার পরেই অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সঞ্জয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরণের কোনও টুর্নামেন্টে আয়োজন করতে হলে, অন্তত ১৫ দিন আগে ঘোষণা করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। কারণ তা না হলে, কুস্তিগিররা নিজেদের প্রস্তুতিতে যথেষ্ট সময় পান না। তবে সঞ্জয়, সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই টুর্নামেন্টের দিনক্ষন ঘোষণা করে দেন। আর এর জেরেই নতুন নির্বাচিত এই কমিটিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তারকা কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) ইতিমধ্যেই তাঁর পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হিসাবে সঞ্জয় সিং-এর নিয়োগ নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। সঞ্জয়, ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ একজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'আমি আমার পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। এই পোস্টটিই আমার অফিসিয়াল বিবৃতি।' সম্প্রতি কমনওয়েলথ গেমসের প্রাক্তন সোনাজয়ী অনিতা শেওরানকে (Anita Sheoran) ফেডারেশনের নির্বাচনে ৪০ ভোটে হারিয়ে সভাপতি হন সঞ্জয় সিং। এই নির্বাচনের ফল প্রকাশ পেতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিবাদী রেসলাররা। সাংবাদিক সম্মেলন করেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া এবং ভিনেশ ফোগট।
সেই সাংবাদিক সম্মেলনেই সাক্ষী তাঁর অবসরের কথা জানান। বলেন যে সঞ্জয়ও ব্রিজভূষণের মতো মানুষ, তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার। সেই কারণে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কুস্তি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর থেকে গোটা দেশেই প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। এরপর বজরং পুনিয়াও পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেওয়ায় নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক।
ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়া সহ শীর্ষস্থানীয় অলিম্পিয়ানরা, একজন নাবালক সহ সাতজন কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে তাদের মাসব্যাপী প্রতিবাদের সময় সিংয়ের গ্রেফতারের দাবি জানান। ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর জুনে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর তারা তাদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে।