ডুরান্ডে ১২ আগস্ট কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) দলে দেখা যাবে তারকা ফুটবলার আর্মান্দো সাদিকু, জেসন কামিন্সদের? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে। তবে সামনে এএফসি কাপের ম্যাচও রয়েছে। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে জুয়ান ফেরান্দোকে।
ডার্বির আগে জেতা ম্যাচ ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যে বাংলাদেশ আর্মিকে প্রথম ম্যাচে ৫ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান, সেই দলের বিরুদ্ধেই ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ। যদিও এটাই ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের প্রথম ম্যাচ ছিল। ফলে সড়গড় হতে আরও কিছুটা সময় দিতেই হবে ইস্টবেঙ্গল দলকে। ডার্বির আগে যদিও সেভাবে সময় পাবেন না কার্লেস কুয়াদ্রাত। মোহনবাগান তাই দলে নাও রাখতে পারে তাদের সেরা তারকাদের। কামিন্স, সাদিকুদের খেলতে দেখতে আরও ক’টা দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে মোহনবাগান সমর্থকদের। এমনিতেও যে দল রেজিস্টার করানো হয়েছে, সেখানে এই দুই ফুটবলারের নাম নেই। এএফসি কাপের আগে ডুরান্ডে কোনওভাবেই বাড়তি ঝুঁকি যে ফেরান্দো নেবেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর কথাতেই।
প্রথম একাদশে না রাখলেও দুই তারকাকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দরকার হলে এই দুই তারকাকে নামানো হতে পারে। তাতে যেমন ম্যাচ টাইম পেয়ে যাবেন দুই তারকা, তেমনিই আবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল দিতে পারলে আরও আত্মবিশ্বাস পাবেন দুই ফুটবলার।
একে বর্ষার মাঠ, তার ওপর আবার ডার্বির মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ফলে চোট-আঘাতের সমস্যা হতে পারে। এমনকি সোমবার পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচেও সতর্ক জুয়ান। তিনি বলেন, ‘যুব দল খুব ভালো খেলছে। এই টিমের বেশ কিছু ফুটবলার আমার নজর কেড়েছে। তাদের সঙ্গে কিছু সিনিয়র ফুটবলার রেখে আমি টিম নামাবো। বৃষ্টি হচ্ছে। কিশোরভারতীর মাঠেও অনেকদিন আমরা খেলিনি। কী অবস্থায় আছে স্টেডিয়াম আছে মাঠে নামলে বুঝতে পারব। তবে সামনে ডার্বি রয়েছে। তার চারদিন পরেই এএফসি কাপ। কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।‘ তবে ডার্বিতেও এই অবস্থান কোচ পরিবর্তন করেন কিনা সেটাই এখন দেখার।