বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে কোনও পদক ছাড়া ফিরতে হল ভারতকে। ব্যর্থ নীরজ চোপড়়া ও সচিন যাদব। চূড়ান্ত থ্রো করার যোগ্যতাটুকুও অর্জন করতে পারেননি জোড়া অলিম্পিক পদকজয়ী নীরজ। তবে পদকের খুব কাছে গিয়েও সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে সচিন যাদবের। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছেন তিনি। নীরজের সেরা থ্রো ছিল ৮৪.০৩ মিটারের। সেখানে সচিনের ৮৬.২৭ মিটার। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কেশর্ন ওয়ালকট। ৮৮.১৬ মিটার জ্যাভলিন ছোড়েন তিনি।
২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। সেবার দ্বিতীয় স্থান পান নীরজ। তবে এদিন আরশাদ ফাইনালে নীরজের আগেই বাদ পড়ে যান। নাদিমের প্রথম থ্রো ছিল ৮২.৭৩ মিটার, তাঁর দ্বিতীয় থ্রো ফাউল হয়, আরশাদের তৃতীয় প্রচেষ্টা ছিল ৮২.৭৫ মিটার তবে পাকিস্তানি ক্রীড়াবিদ চতুর্থ থ্রো ফাউল করেন।
সেখানে নীরজ চোপড়ার প্রথম থ্রো ছিল ৮৩.৬৫ মিটার, দ্বিতীয় ৮৪.০৩ মিটার, তৃতীয় এবং পঞ্চমবার ফাউল করেন। নীরজের চতুর্থ থ্রো ছিল ৮২.৮৬ মিটারের। সেখানে সচিন যাদব ভালো পারফর্ম করেন। তাঁর প্রথম থ্রো ৮৬.২৭ মিটারের হয়। দ্বিতীয় থ্রো ফাউল, তৃতীয় থ্রো ৮৫.৭১ মিটার, চতুর্থ ৮৪.৯০ মিটার। তাঁর শেষ দুটি থ্রো ছিল যথাক্রমে ৮৫.৯৬ মিটার এবং ৮০.৯৫ মিটার। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য ২০১৮ সালের পর প্রথম নীরজ কোনও পদক জিতলেন না।
২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের পর এই টুর্নামেন্টে ফের পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমের মুখোমুখি হন নীরজ। সেবার ৯২.৯৭ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক থ্রো করে সোনা জিতেছিলেন নাদিম। নীরজের থ্রো ছিল ৮৯.৪৫ মিটার। আবার বুদাপেস্টে গত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নীরজ ৮৮.১৭ মিটার থ্রো করে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। সেবার আবার আরশাদ শেষ করেন দ্বিতীয় স্থানে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোতে মাত্র দুজন ক্রীড়াবিদ তাঁদের শিরোপা ধরে রাখতে পেরেছেন। চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যান জেলেজনি (১৯৯৩ ও ১৯৯৫) এবং অ্যান্ডারসন পিটার্স (২০১৯ ও ২০২২)। জেলেজনি হলেন নীরজ চোপড়ার বর্তমান কোচ।