Wrestler Sakshi Malik.এত লড়াইয়ের পরেও ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হন ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। এই ঘোষণার পরই রাগে, কান্নায় ফুঁসতে ফুঁসতে অবসরের ঘোষণা করেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। এরপর আন্দোলনরত আরও এক কুস্তিগির বজরং পুনিয়া প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছে ২০১৯-এ প্রাপ্ত পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠের ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ায় আন্দোলন আবারও সুর চড়িয়েছে।
আসলে ফেডারেশনের নয়া সভাপতি সঞ্জয় সিং প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের খুব কাছের। তাঁর জয়ের পর, কুস্তিগিররা দাবি করছেন, ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সভাপতি হওয়ার পর তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা আরও কমে গেছে। কুস্তি থেকে অবসর নেওয়া পর সাক্ষী মালিক জানান তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপের কথা।
'ব্রিজভূষণের ব্যবসায়িক পার্টনার প্রেসিডেন্ট'
সাক্ষী মালিক বলেন, 'আমাদের (কুস্তিগিরদের) লড়াই ছিল ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। আমরা ফেডারেশন থেকে তাঁর অপসারণ চেয়েছিলাম। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম ফেডারেশনে একজন মহিলা সভাপতি থাকতে হবে, যাতে শোষণের অভিযোগ না আসে। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলেও এখন ফলাফল ভিন্ন, যা সবাই দেখছে। ব্রিজভূষণের ডান হাত এবং তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনারই হয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি।'
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন সাক্ষী?
ভবিষ্যতে কংগ্রেসের টিকিটে হরিয়ানায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন সাক্ষী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও এমন কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। সম্প্রতি তিনি কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এই মুহূর্তে দুঃখ অনুভব করছেন তিনি। এটি কাটিয়ে উঠতে তার কিছুটা সময় দরকার। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রশ্নে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কী করতে চলেছেন তা বলা যাচ্ছে না, তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ
এর আগে বজরং পুনিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠিও লিখেছিলেন। এতে তিনি লিখেছিলেন ২১শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রেসলিং অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন ব্রিজভূষণ। 'আধিপত্য আছে, আধিপত্য থাকবে' এমন দাবি তিনি করেছেন।