কলকাতা পুলিশের আওতায় আসছে ভাঙরকলকাতা পুলিশের অধীনে আসছে ভাঙড়। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশমাফিক, কলকাতা পুলিশের অধীনে পড়বে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই অশান্ত এলাকা।
এদিন আলিপুর বডিগার্ড লাইনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই নয়া নির্দেশ দেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে এই বিষয়ে জানান। বলেন, ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের আলাদা ডিভিশন করা হবে।
শুধু তাই নয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়কেও এই পরিবর্তন কার্যকর করতে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অশান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে...
শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। প্রাণহানি। নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশ। ভাঙড়ের অশান্তি কারও অজানা নয়। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে উত্তপ্ত ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফ-এর সংঘর্ষ হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষমেশ ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। একের পর এক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে।
এমতাবস্থায় ভাঙড় আর রাজ্য পুলিশের হাতে ছেড়ে রাখতে চাইছেন না পুলিশমন্ত্রী মমতা। সেই কারণেই সরাসরি কলকাতা পুলিশের বিশেষ নিয়ন্ত্রিত এলাকার মধ্যে ভাঙড়কে আনতে চাইছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের জন্য পুলিশের আলাদা ডিভিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামিদিনে কলকাতা পুলিশের তত্ত্বাবধানে ভাঙড়ে শান্তি ফেরে কিনা, এখন সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে বারবার অশান্ত হয়েছে ভাঙড়। মনোনয়ন জমা থেকে এবং ভোটপর্ব মেটার পরেও চলেছে তুমুল হিংসা৷ নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরেও ভোট পরবর্তী হিংসায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। হিংসা থামাতে ভাঙড়ে প্রবেশ পথ ১৪৪ ধারা করে আটকে দেওয়া হয়। ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, ক্যানিং পূর্বের TMC বিধায়ক শওকত মোল্লা-সহ আরও অনেককে সেখানে প্রবেশে বাধা দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।