তৃণমূলে ফিরলেন শোভন'আমার ধমনী, শিরা হল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘরের ছেলে হিসাবে পুনরায় এর সঙ্গে শামিল হলাম। আগমিদিনে তৃণমূলে আমার সামর্থ মতো মমতাদি, অভিষেক যা চাইবে, সেভাবে কাজ করব।' আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে এই কথাই বললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এ দিনের যোগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন অরূপ বলেন, 'প্রাক্তন মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র দলের কাছে ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন দিয়েছেন। সুব্রত বক্সীর হাত ধরে তিনি ঘরে আসছেন। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। বৃহত্তর তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে কাজ করবেন।'
সুব্রত বক্সী বলেন, 'কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রীর দলে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে। আমরা আনন্দিত। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী ওদের দলে নেওয়া হয়েছে।'
এ দিন শোভন কী বলেন?
'দলকে শক্তিশালী করতে যা দায়িত্ব অর্পিত করা হবে তা পালন করার চেষ্টা করব করব। ইতিমধ্যে এনকেডিএ-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের সিনসিয়ারিটি দিয়ে কাজ করব। কোথাও ত্রুটি রাখব না। এটা আমার ডিউটি। এই সুন্দর ঘরকে আমার শক্তিশালী করে তুলব।', এমনটাই বলেন শোভন।
এরপরই শোভন ও বৈশাখীকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে যোগদান করান সুব্রত বক্সী।
অভিষেকের সঙ্গে হবে বৈঠক
দলে আনুষ্ঠানিক যোগদানের পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কালীঘাটের অফিসে দেখা করতে যাচ্ছেন শোভন ও বৈশাখী। অভিষেক তাদের দেখা করার সময় দিয়েছেন বলেই খবর।
কথা বলতে পারেননি বৈশাখী
এ দিন শোভন সাংবাদিকদের সামনে কথা বললেও চুপ ছিলেন বৈশাখী। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, শোভনের জন্যই বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরা। তবে তাঁকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। তাই তাঁকে এ দিন একটা কথাও বলতে দেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূল বৈশাখী সম্পর্কে বার্তা দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অনেক দিন ধরেই ফেরার জার্নি হয়েছে শুরু
শোভন যে ঘরে ফিরছেন, সেটা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দার্জিলিঙের বৈঠকের পরই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বৈঠকের পরই এনকেডিএ-এর চেয়ারম্যান হিসাবে জায়গা পান শোভন। এরপরই তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক যোগদান ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেটাই হল আজ।
কোন পদে ফিরলেন?
এই বৈঠকে শোভনের পদ নিয়ে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। এমনকী তিনি আগামী বিধানসভা ভোটে লড়বেন কি না, সেটাও জানান হয়নি। আর এখন এই দু'টি বিষয় জানতেই আগ্রহী রাজনৈতিক মহল।