সোমবার কালীঘাটে। ছবি: ফেসবুক/অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়তৃণমূল কংগ্রেসে ঘরওয়াপসি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ফিরলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনকেই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় দল।
এদিন দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন শোভন ও বৈশাখী। তাঁদের পাশে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পরে কালীঘাটের তৃণমূল ভবনে যান তাঁরা। সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন শোভন ও বৈশাখী।
অভিষেকের শুভেচ্ছা বার্তা
অভিষেক বলেন, 'শোভনদা, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এসেছেন। দু’জনকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তাঁরা দলের সৈনিক হিসাবে কাজ করবেন। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের হাত আরও শক্তিশালী করবেন।'
অভিষেক আরও বলেন, 'শোভন চট্টোপাধ্যায় গত ৫-৬ বছর ধরে দলের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে এতদিন দূরেই ছিলেন। তবে এবার তিনি ফিরে এসেছেন। আশা করি দলীয় নেতৃত্বের কথা মতো ওঁরা তৃণমূলের হয়ে লড়াই করবেন।' অর্থাৎ, শোভন ও বৈশাখী যে এখন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বুঝিয়ে দিলেন যে, শোভনের প্রতি তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি দলে কোনও পদ দেওয়া হবে?
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক জানালেন, সেই বিষয়ে এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। সোমবারই তাঁরা দলে ফিরেছেন। এরপর দলের ওয়ার্কিং কমিটি সম্মিলীত সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন দলে ফেরা নিয়ে শোভনের কণ্ঠেও উচ্ছ্বাস ছিল স্পষ্ট। দুপুরে তৃণমূলের ফেরার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আমার ধমনী, শিরা হল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘরের ছেলে হিসাবে আবার ফিরে এলাম। মমতাদি, অভিষেক যা দায়িত্ব দেবেন, সেটা আমি সম্পূর্ণভাবে পালন করব।'
শোভন আরও বলেন, 'দলকে শক্তিশালী করা আমার লক্ষ্য। এনকেডিএ-র দায়িত্ব পেয়েছি। নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করব। কোথাও ত্রুটি রাখব না। এই সুন্দর ঘরকে আরও শক্তিশালী করাই আমার ডিউটি।'
শোভনের পদ কী হবে?
শোভনের পদ নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। তিনি কবে কোন দায়িত্বে ফিরবেন, বা ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন কি না, সে বিষয়ে দল মুখ খোলেনি। আপাতত এই নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের আগে শোভনের প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। অভিষেকের উপস্থিতিতে এই পুনর্মিলন দলের ভেতর কী ফের পুরাতন ও নতুনের ঐক্যের বার্তা দিচ্ছে? সেই আলোচনাতেই মগ্ন রাজনৈতিক মহল। শোভন কি ফের সক্রিয়ভাবে বাংলার রাজনীতির মঞ্চে ফিরবেন? শীঘ্রই তার উত্তর মিলবে বলে ধারণা সকলের।