Monsoon Latest Update'নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে, তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো,আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।' বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে কাঠফাটা গরমের পর আষাঢ়ে কালো মেঘে ঢেকে আকাশ ঢেকে বর্ষা। তেমন পূর্বাভাসই দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ইতিমধ্যেই প্রবেশ করে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। দক্ষিণবঙ্গেও এবার প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। তবে তার আগে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। পশ্চিম জেলাগুলিতে চলবে তাপপ্রবাহ।
উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টিপাত। তবে দক্ষিণবঙ্গের কপালে এখনও শিকে ছেড়েনি। দক্ষিণবঙ্গে সরকারিভাবে বর্ষা প্রবেশ করে ৮ জুন। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গবাসীকে আরও কটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৯ থেকে ২২ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে চলে আসবে বর্ষা। সেই সময় অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে। উপরের পাঁচ জেলায় বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার,জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিঙের বেশ কিছু জায়গায় ভারী এবং অভিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের মালদা ও দুই দিনাজপুরে এখনও বর্ষা আসেনি। সেখানে তাপপ্রবাহ অব্য়াহত থাকবে।
বর্ষা আসার আগে পর্যন্ত তার আগে অস্বস্তিকর গরম চলতে থাকবে। কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম দুই বর্ধমান, নদিয়া ও দুই মেদিনীপুরে দু-তিন দিন ধরে চলবে তাপপ্রবাহ। তবে দু-তিন দিন পর থেকে ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসছে গরম হাওয়া। সে কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্প আবহাওয়াতে প্যাচপ্যাচে গরম ও অস্বস্তিকর করে তুলেছে। হাঁসফাঁস নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আরও ভোগান্তি বাড়িয়েছে লোডশেডিং।