শোভন ও বৈশাখীকে নিয়ে কী বললেন রত্না?তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি' হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সেই সঙ্গে দলে ফিরেছেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে বললেন, 'ওঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনেক দিন ঘরে বসেছিলেন। কাজের মানুষ ঘরে বসে অসুস্থ হয়ে যান। এ বার দলের কাজ করুন।'
প্রসঙ্গত, রত্নার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে শোভনের। আদলতে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। সেই মামলার রায় এখনও বেরয়নি। তবে একে অপরের থেকে বহুদিনই দূরে রয়েছেন। এমনকী তিক্ততা বাড়ায় দুজনে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখও খুলেছেন। আর এমন পরিস্থিতিতেই দলে ফিরলেন শোভন। সঙ্গে আনলেন বৈশাখীকে। আর এই আবহেই শোভন এবং বৈশাখীর ঘরে ফেরা নিয়ে রত্না কী বলেন, সেই দিকেই নজর ছিল অনেকের।
ঘটনাচক্রে শোভন দল ছাড়ার পর তাঁরই সিটে প্রার্থী করা হয় রত্নাকে। গত বিধানসভা ভোটে তিনি সেখানে জিতে আসেন। যদিও নতুন করে দলে যোগ দেওয়ার পর সেই পুরনো সিটে শোভন লড়তে পারেন বলে খবর। আর সেই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রত্না জানান, তিনি দলের কর্মী। দলের সব সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে দল যদি বেহালা পূর্বে শোভনকে দাঁড় করবে বলে মনে করে, সেটা মেনে নিতে হবে।
যদিও শোভনের এই ফেরা নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি রত্না। আসলে এ দিন দলের প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে আমার 'ধমনী-শিরাতে তৃণমূল' বলে মন্তব্য করেন শোভন। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রত্নার দাবি, শিরায় তৃণমূল আর বাইরে বিজেপি, এমনটা মেলানো খুব কঠিন। আসলে তখন শোভনের মনে হয়েছিল ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তবে বিজেপি দুইজনকে টিকিট দেয়নি। সেই কারণে বিজেপি ছেড়ে দেয়।
বৈশাখী নিয়ে কী বললেন?
এ দিন শোভনের সঙ্গেই তৃণমূলে যোগ দিলেন বৈশাখী। আর সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরক্তিই শোনা গিয়েছে বলে দাবি সেই সংবাদমাধ্যমের। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'ওই মহিলার ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে চাই না। কোনও উত্তর দিতে চাই না। ওই মহিলার সম্পর্কে কথা বলব, এটা আমার সঙ্গে যায় না।...'
অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট, শোভনকে মেনে নিলেও বৈশাখী নিয়ে এখনও ক্ষোভ রয়েছে রত্নার মনে। এখন দেখার ঠিক কীভাবে তৃণমূল এই গোটা বিষয়টা সামলায়।