মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ৬ বছরের একটি ছেলে অদ্ভুত আকৃতির শক্তিশালী দাঁত খুঁজে পেয়েছে। সে ভাবে এটি কোন ড্রাগন বা ডাইনোসরের দাঁত। ডাইনোসর হিল নেচার রিজার্ভে সেপ্টেম্বরের সকালে হাঁটার সময় শিশুটি এই দাঁতটি খুঁজে পায়। যা পরবর্তীতে জীবাশ্মবিদদের দ্বারা মাস্টোডনের দাঁত হিসেবে পরীক্ষা করা হয়। মাস্টোডনরা হাতির পূর্বপুরুষ।
মিশিগানে বসবাসকারী জুলিয়ান গ্যাগন তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোচেস্টার হিলসের ডাইনোসর হিল নেচার রিজার্ভে সেপ্টেম্বর মাসে ভ্রমণে গিয়ে হাঁটছিলেন। তখন তিনি এই বিশাল দাঁতটি পান। জুলিয়ান বলেছিল, যে এটি আমার পায়ে আঘাত করে। যখন আমি এটাকে তুলে নিয়ে দেখলাম, আমি ভেবেছিলাম এটা কোন ড্রাগন বা ডাইনোসরের দাঁত। গুগল সার্চ করে পরে এটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করে কিন্তু ডাইনোসর বা ড্রাগন বলে অনুমান করা হয়। জুলিয়ান খুব খুশি হয়ে ওঠে। (ছবি: গেটি)
যখন এই শিশুর দাঁত পাওয়ার খবর মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের বিজ্ঞানীদের কাছে পৌঁছয়, তখন তারা জুলিয়ানের অনুমতি নিয়ে দাঁতটি পরীক্ষা করে। তারপর জানা গেল যে এটি হাতির পূর্বপুরুষ মাস্টোডনের। মাস্টোডন বর্তমান হাতির পুরানো পূর্বপুরুষ। এই জিনিসটি প্রায় ২.৭০ কোটি থেকে ৩ কোটি বছরের পুরনো। মাস্টোডনের প্রজাতি ১০ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
সান দিয়েগো ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম অনুসারে, মাস্টোডন পৃথিবীর বেশিরভাগ বনে বাস করত। বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায়। তাদের উচ্চতা ছিল ৮ থেকে ১০ ফুট। যদিও ওজন ছিল প্রায় ৬ টন। প্যালিওন্টোলজিস্ট অ্যাডাম রনট্রে বলেন, জুলিয়ানের পাওয়া দাঁত পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে যে এটি মাস্টোডনের মোলার। এটা ম্যামথের দাঁত নয়।
ম্যামথরা হাতির পূর্বপুরুষ ছিল, যারা তুষার যুগে শাসন করেছিলএবং এতে মারাও গিয়েছিল। মাস্টোডন সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, জুলিয়ান জানায় যে সে বড় হয়ে জীবাশ্মবিদ হতে চায়। কারণ তিনি প্রথমবারের মতো একটি প্রাচীন প্রাণীর দাঁত আবিষ্কার করে। (ছবি: গেটি)
গত বছরের মে মাসে মেক্সিকো সিটিতে একটি বিশালাকৃতির দেহাবশেষ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী ও মানুষের হাড়ও সেই স্থানে পাওয়া গেছে।
মেক্সিকোর ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি (আইএনএএইচ) জানিয়েছে, যে নির্মাণস্থলে পাওয়া ম্যামথের দেহাবশেষ প্রায় ১৫,০০০ বছরের পুরনো। বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার সেই জায়গায় তৈরি হতে চলেছে যেখানে এই দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।