
ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগ নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে সব নতুন মোবাইলে সঞ্চার সাথী অ্যাপ প্রি ইনস্টল হয়ে আসবে। আর এই অ্যাপ নিয়েই রয়েছে হাজার প্রশ্ন। তার উত্তর রইল...

কেন এই অ্যাপ? এর উত্তরে টেলিকম বিভাগ জানিয়েছে, সাইবার জালিয়াতি রোখা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। পাশাপাশি চুরি যাওয়া মোবাইলকে ট্র্যাক করা যাবে। জাল সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে না। এমনকী ভুয়ো IMEI নম্বরের মতো জালিয়াতিকে রোখা সম্ভব হবে।

এই অ্যাপ কি পুরনো ফোনেও মিলবে? এই অ্যাপ পুরনো ফোনেও চলবে। এক্ষেত্রে মোবাইল নির্মাতা সংস্থার পক্ষ থেকে একটি আপডেট দেওয়া হবে। তার মাধ্যমেই পুরনো ফোনে চলবে সঞ্চার সাথী অ্যাপ।

এই অ্যাপ কি ডিলিট করা যাবে না? এই অ্যাপ কিন্তু ডিলিট করা যাবে না। এমনকী অ্যাপটাকে ডিজাবেল করাও যাবে না।

কতদিনের ডেডলাইন? নতুন যেই সব ফোন বেরবে, সেখানে আগে থেকেই ইনস্টল থাকবে এই ফোন। এর জন্য ৯০ দিনের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে টেলিকম বিভাগের পক্ষ থেকে।

কীভাবে চুরি যাওয়া মোবাইল ফেরত পাবেন? এই অ্যাপ ইনস্টল করা থাকলে চুরি যাওয়া মোবাইল খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই আইএমইআই নম্বরকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হবে। এরপর কেউ ওই মোবাইলে নতুন সিম ভরলেই টেলিকম সংস্থার কাছে সব তথ্য পৌঁছে যাবে।

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার সময় কী সুবিধা? অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনেন। আর তারা বুঝতেই পারেন না এই ফোনটা চুরির কি না। যদিও সেই সমস্যারও সমাধান হবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ব্লক এবং ব্ল্যাকলিস্টেড IMEI দেখতে পারবেন।

সাধারণ ফিচার ফোনে অ্যাপটি মিলবে? না, এই সব ফোনে এখনই অ্যাপ আসছে না বলেই খবর। তবে এই নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি।

কাারা বের করেছে অ্যাপটি? এই অ্যাপটি বের করে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম (ডট)। মোবাইল সিকিউরিটি বাড়ানোই এর লক্ষ্য।