এআই ব়্যাঙ্কিংযুগটা AI-এর। এই যুগে এগিয়ে থাকতে চাইলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দিকে ঝুঁকতেই হবে। আর এই বিষয়টা ভালই বুঝেছে ভারত। আর সেটা নতুন পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ২০২৫ গ্লোবাল এআই ভাইব্রেন্সি টুল রিপোর্ট (২০২৪-এর ডেটা) অনুযায়ী ভারত রয়েছে তৃতীয় নম্বরে। আমেরিকা এবং চিনের ঠিক পরেই। এই রিপোর্টে ২১.৫৯ পেয়েছে ভারত।
ও দিকে আবার আমেরিকার স্কোর হল ৭৮.৬। এছাড়া চিনের স্কোর ৩৬.৯৫। আর এই লিস্টেই তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। আমাদের দেশ গত বছর ৭ নম্বর স্থানে ছিল। এ বার তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত।
স্ট্যানফোর্ড গ্লোবাল এআই ভাইব্রেন্সি টুল কী?
এটি একটি টুল। এই টুলের মাধ্যমে এআই ইকোসিস্টেম ব্যবহার এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কোন দেশ কত স্থানে রয়েছে, সেটার ব়্যঙ্কিং করা হয়। এখানে একটি ড্যাশবোর্ড তৈরি করা হয়। এই ড্যাশবোর্ডে সব দেশের সাতটি পিলার থাকে। এই সাতটি পিলার হল- রিসার্চ, ট্যালেন্ট, ইকোনমি, পলিসি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, রেসপনসিবল এআই এবং পাবলিক ওপিনিয়ন।
আর এই তালিকাতে সব দেশের সঙ্গে লড়াই করে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। আগের বছরই আমাদের অবস্থান ছিল ৭ নম্বরে। তবে এবার দক্ষিণ কোরিয়া এবং UK-কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
কীভাবে ৭ থেকে ৩-এ উঠল ভারত?
এক বছরে এভাবে এগিয়ে যাওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে শক্তিশালী নীতি থেকে শুরু করে দ্রুত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের গ্রোথ এবং এআই নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞের সংখ্যা বৃদ্ধিই ভারতের ব়্যাঙ্কিং এগিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রিপোর্টে আরও নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে ভারত নতুন এবং বিরাট উদ্যোগের জন্যই এআই ফিল্ডে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকী পিছনে ফেলে দিচ্ছে একাধিক উন্নত দেশকেও। আর এটাই ভারতের মাথায় নতুন পালক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণা কতটা চলছে?
এই বিষয়ে আমেরিকা এবং চিনের পিছনেই রয়েছে ভারত। যদিও আমাদের দেশ থেমে নেই। এগিয়ে যাচ্ছে আরও উন্নতির দিকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনও রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। এটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া বেসরকারি পয়সাও এই খাতে অনেকটা কম বিনিয়োগ হচ্ছে। তাই এই জায়গাগুলোকে শুধরে ফেলতে হবে। তাহলেই আরও এগিয়ে যাওয়া যাবে। ছুঁয়ে ফেলা যাবে আমেরিকা এবং চিনকে।