Maruti Suzuki Electric Cars: ইলেকট্রিক গাড়িই ভবিষ্য়ত। আর সেই ভবিষ্যত খুব একটা দূরে নেই। এই কথায় বিশ্বাস করছে মারুতি সুজুকিও। আর সেই কারণেই সময় থাকলে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে তারা। মোট ৬টি ইলেকট্রিক গাড়ি আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করল মারুতি সুজুকি।
Maruti Suzuki নতুন Invicto লঞ্চের সময়েই দেশে ছয়টি বৈদ্যুতিক গাড়ি (EVs) চালু করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে৷ এই পদক্ষেপের বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে মারুতি মূলত পেট্রোল এবং সিএনজি ইঞ্জিনেই বেশি জোর দেয়৷
ভারতে বৈদ্যুতিক চার চাকার বাজারে বর্তমানে টাটা মোটর্সেরই আধিপত্য। টাটার Nexon EV বেশ জনপ্রিয়। Maruti Suzuki যদি বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ি আনে, তবে সেই বাজারের অনেকটাই দখল হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জনপ্রিয় WagonR-এর ইলেকট্রিক ভার্সান আনা হবে। ৬টি গাড়ির মধ্যে এটিই সবচেয়ে সস্তার হবে। ইতিমধ্যেই ওয়্যাগনআর-এর ইভি ভার্সানের টেস্টিংয়ের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
অটো এক্সপো 2023-এ মারুতি eVX কনসেপ্ট প্রকাশ করেছিল। সেটিও সম্ভবত মিড সাইজড বৈদ্যুতিক SUV হিসেবে আনা হবে। আর সেই গাড়ি এলেই Tata Nexon EV এবং Mahindra XUV400-র সঙ্গে আরও একটি অপশন পেয়ে যাবেন ক্রেতারা। মারুতি সুজুকি এর আগে এই গাড়ির বিষয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল যে, ইলেকট্রিক SUV-টিতে 60 kWh ব্যাটারি প্যাক থাকবে। তাতে এক চার্জে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ মিলবে বলে দাবি সংস্থার।
মারুতি তাদের অফিসিয়াল প্রেজেন্টেশনে আরও চারটি বৈদ্যুতিক গাড়ির আভাস দিয়েছিল। কালো আউটলাইন-টুকুই দেখানো হয়েছিল। তার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, Baleno, Fronx, Grand Vitara এবং Jimny-র বৈদ্যুতিক ভার্সান আনা হবে। অদূর ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য প্রকাশ করতে পারে মারুতি।
Maruti Suzuki গত কয়েক বছরে বেশ আগ্রাসী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। একের পর এক নতুন মডেল এনেছে মারুতি। ঠিক একই ধাঁচে এবার ইলেকট্রিক গাড়িও আনছে তারা। নয়া জেনারেশনের ব্রেজা, গ্র্যান্ড ভিটারা, ফ্রনক্স এবং জিমনির মতো মডেলের মাধ্যমে এমনিতেই বড় গাড়ির বাজারে ভালই এগিয়ে এসেছে মারুতি। আগামিদিনে এগুলির ইলেকট্রিক ভার্সানের মাধ্যমে গ্রাহকের সংখ্যা আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে মারুতি সুজুকি।
ইতিমধ্যেই মারুতি সুজুকি খারখোদায় একটি নতুন উত্পাদন কেন্দ্রের নির্মাণও শুরু করে দিয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কারখানায় বার্ষিক ২,৫০,০০০ ইউনিট উত্পাদন ক্ষমতা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।