নাসার (NASA) কিউরিসিটি রোভার (Curiosity Rover) এবং পারসিভারেন্স রোভার (Perseverance Rover) মঙ্গল গ্রহ (Mars) এর প্রাচীন জীবনের প্রমাণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এখন জানা গিয়েছে যে এই প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার জন্য আমাদের হয়তো আরেকটু গভীরভাবে খনন করতে হতে পারে। যদি মঙ্গল গ্রহের জীবন ছিল, তাহলে তা মাটির ৬.৬ ফুট নিচে প্রোথিত থাকতে পারে। এটা এ কারণে, কারণ মঙ্গলের বায়ুমন্ডল দুর্বল এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্র নেই। এ কারণে মঙ্গলের উপর কসমিক রেডিয়েশন পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি। কসমিক রেডিয়েশন থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায়।
নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের (Goddard Space Flight Center) ভৌতবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পাভলভ (Alexander Pavlov) জানিয়েছেন যে মঙ্গল গ্রহের ওপর সাধারণত পাথর এবং রেগলিথের (regolith) কসমিক রেডিয়েশন অ্যামাইনো অ্যাসিডকে যত দ্রুত মনে করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি গতিতে নষ্ট করে দেয়। মার্সে এক্সপ্লোরেশনের কারণে কসমিক রেডিয়েশন একটা বড় সমস্যা। পৃথিবীতে মানুষ প্রতি বছর .৩৩ মিলিসিবার্ট কসমিক রেডিয়েশন এর সম্পর্কে আসে। মঙ্গল গ্রহে যা উপর বছরে ২৫০ মিলিসিবার্টের বেশি হতে পারে।
অ্যাস্ট্রবায়োলজিতে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী প্যাভলভ এবং তার টিম মঙ্গল গ্রহের উপর অ্যামিনো এসিডের প্রমাণ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও ভালোভাবে বুঝতে চান। এ কারণে তাঁরা এর প্রয়োগ করেছেন। তারা সিলিকা, হাইড্রেটেড সিলিকা অথবা সিলিকা এবং একলরিয়েটস মিলিয়ে মঙ্গল গ্রহের মতো মাটি তৈরি করেন এবং তার মধ্যে মিনারেলস এর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছেন। এ পরে তারা টেস্টটিউবে সিল করে দেন। আলাদা আলাদা টেস্টটিউবে মঙ্গলের আলাদা আলাদা তাপমাত্রার উপরে, গ্রহের উপর আলাদা বায়ুমণ্ডলের প্রভাব তৈরি করেন। এরপর তার ওপর রেডিয়েশন প্রয়োগ করেন। রেডিয়েশন ওই মাটিকে স্টিমুলেট করে নষ্ট করে দেয়।
এটা জানা গিয়েছে যে সিলিকার বিশেষ করে একলারিয়েটসওয়ালা সিলিকার অ্যামিনো অ্যাসিডকে নষ্ট করতে খুব দ্রুত সাহায্য করে। এর মানে হল যে মঙ্গল গ্রহের উপর কোনওভাবে অ্যামাইনো এসিডের কাছাকাছি ১০ কোটি বছর পুরনো, যেটা নষ্ট হয়েছে। এ কারণে মঙ্গল গ্রহের উপর অ্যাসিডের খোঁজ করা একটু কঠিন। তাই আরও গভীরে যেতে হবে। মঙ্গলের ৬.৬ ফুট নীচে আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার প্রায় ২ ইঞ্চি। পর্যন্ত গ্রিল করতে পারে।