SIM Swap Fraud: দেশে নানা ধরনের প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে। সাইবার অপরাধীরা প্রতারণার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করছে। এখন এমনই একটি পদ্ধতি হল সিম-সোয়াপ জালিয়াতি, যার মাধ্যমে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে।
কিছু দিন আগে, মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি সিম সোয়াপ জালিয়াতির শিকার হয়ে প্রায় ১.৭ লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। একই সঙ্গে দিল্লির ব্যবসায়ীরও ক্ষতি হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আপনিও এর শিকার হতে পারেন। এই ধরনের জালিয়াতি থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
সিম সোয়াপ জালিয়াতির মাধ্যম কী কী?
এই ধরনের জালিয়াতি করার জন্য, প্রতারকরা ভুয়ো মেইল, ভুয়ো ফোন কল, ভুয়ো টেক্সট মেসেজ ইত্যাদির মাধ্যমে একজন সম্ভাব্য ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য পায়। এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে ফেক আইডি তৈরি করে ডুপ্লিকেট সিম কার্ড ইস্যু করে নেয় জালিয়াতরা। একবার ডুপ্লিকেট সিম কাজ করা শুরু করলে, আসল সিম ব্লক হয়ে যায় এবং তারপরে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট এবং ওটিপিতে অ্যাক্সেস পেয়ে যায় হ্যাকাররা।
আরও পড়ুন: হোম লোন না নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকাই বেশি লাভজনক, হিসাবটা বুঝে নিন
কীভাবে হয় সিম সোয়াপ জালিয়াতি?
প্রতারকরা আপনাকে 3G থেকে 4G-তে বিনামূল্যে আপগ্রেড করার সুবিধা, প্যাকেজে অতিরিক্ত সুবিধা, লটারি পুরস্কার এবং ব্যাঙ্কের বিবরণ যাচাইকরণ ইত্যাদির সুবিধা দিয়ে প্রলুব্ধ করতে পারে। তথ্য দেওয়ার পরে, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা সাফ হয়ে যাবে। ২০২১ সালে এফবিআই এই সিম সোয়াপ জালিয়াতির ১,৬১১টি অভিযোগ নথিভুক্ত করেছিল এবং জালিয়াতির ফলে খোয়া যাওয়া টাকার পরিমাণ ৬৮ মিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৫৪৪ কোটি টাকার সমান।
কীভাবে বাঁচবেন এই ধরনের জালিয়াতি থেকে?
সিম সোয়াপ জালিয়াতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে, আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা তোলার সীমা রাখুন। আপনার এলাকায় ভালো নেটওয়ার্ক না থাকলে অবিলম্বে আপনার নেট ব্যাঙ্কিং বন্ধ করুন বা আপনার অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।