অডিয়ো এডিটিং বা স্টুডিও মনিটরিংয়ের জন্য তাই Wired কানেকশনই বেস্ট।Wired Earphones vs Bluetooth Headphones: আজকাল গান শোনা থেকেই ভিডিও দেখা, সবসময়ই মানুষের কানে হেডফোন। ফলে অডিয়ো কোয়ালিটির গুরুত্ব বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, সস্তায় তারের ইয়ারফোন নাকি একটু দামি ব্লুটুথ হেডফোন, কোনটায় বেশি ‘ক্রিস্প’ ও ‘ক্লিয়ার’ সাউন্ড পাবেন? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, তারের ইয়ারফোনের প্লাস পয়েন্টই হল, এতে সিগন্যাল লসের সম্ভাবনা কম। ডিভাইস থেকে অডিয়ো সরাসরি তারের মাধ্যমে আসে। ফলে শব্দে কম্প্রেশন হয় না। হাই Bass, ভয়েস ক্ল্যারিটি, ইনস্ট্রুমেন্টাল ডিটেল, সবই অনেক সময় তুলনায় বেশি স্পষ্ট শোনা যায়। অডিয়ো এডিটিং বা স্টুডিও মনিটরিংয়ের জন্য তাই Wired কানেকশনই বেস্ট।
অন্যদিকে আজকাল ব্লুটুথ হেডফোনও যথেষ্ট অ্যাডভান্সড। ওয়্যারলেস সিগন্যাল। অডিয়ো ডেটা কম্প্রেশন হয়। তবে নতুন নতুন Bluetooth codec যেমন AAC, aptX, LDAC; এসব এসে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। প্রিমিয়াম হেডফোনে এই কোডেক ব্যবহার হলে শব্দ প্রায় তারযুক্ত ইয়ারফোনের মতোই পরিষ্কার শোনা যায়। উপরন্তু, তারের ঝামেলা নেই, ব্যাগে জট লাগার ভয় নেই; সুবিধে তো আছেই।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্লুটুথ হেডফোনের একটি সীমাবদ্ধতা হল ল্যাটেন্সি। ভিডিও দেখার সময় শব্দ ও ছবির মধ্যে সামান্য দেরি হতে পারে। আবার ব্যাটারি কম থাকলে সাউন্ড কোয়ালিটিও নেমে যায়। সেখানে তারের ইয়ারফোনে এমন সমস্যা নেই।
শেষ কথা? যদি পুরোপুরি শুদ্ধ সাউন্ড কোয়ালিটি চান, বিশেষ করে বাজেট কম হলে, তারের ইয়ারফোনই এগিয়ে। কিন্তু যদি সুবিধে, ফিচার, আর স্মার্ট কানেক্টিভিটি আপনার অগ্রাধিকারে থাকে, সেক্ষেত্রে ভাল ব্লুটুথ হেডফোনও নিরাশ করবে না।
অডিয়ো প্রেমীদের মতে, দু’টোরই আলাদা ব্যবহার, আলাদা সুবিধে। নিজের প্রয়োজন বুঝেই বেছে নিন ডিভাইস।