
মোদী সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন স্কেল এবং বিভিন্ন ভাতা সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, কমিশনকে ১৮ মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিশনকে ১৮ মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনে সরকারের কাছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনও জমা দেওয়া যেতে পারে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জারি করা সরকারি বিবৃতি অনুসারে, সুপারিশগুলি প্রস্তুত করার সময় কমিশন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক শৃঙ্খলা বিবেচনা করবে।

প্রতি ১০ বছর অন্তর বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি সংশোধিত হওয়ার কারণে, অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি সম্ভবত ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি ১ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে কার্যকর করা হয়েছিল।

এছাড়াও, সুপারিশ দেওয়ার সময় রাজ্যগুলির আর্থিক অবস্থাও মূল্যায়ন করা হবে, কারণ রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রীয় কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের বেতন সংশোধন করে।

এই কমিশন ৫০ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং প্রায় ৬৯ লক্ষ পেনশনভোগীকে উপকৃত করবে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল কত বেতন বৃদ্ধি হবে এবং কত টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হবে। মূলত, মূল বেতন বৃদ্ধি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর এবং মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাড়বে।

বেতন, ভাতা এবং অবসরকালীন সুবিধা পর্যালোচনা
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো, ভাতা, পেনশন, গ্র্যাচুইটি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পর্যালোচনা।

অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পর, কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা আরও বেশ কিছু সুবিধা বৃদ্ধি পেতে পারেন, যেমন এইচআরএ (বাড়ি ভাড়া ভাতা) সংশোধন, টিএ (ভ্রমণ ভাতা) বৃদ্ধি, চিকিৎসা প্রতিদান এবং স্বাস্থ্য সুবিধার উন্নতি, গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং এনপিএসে কর্মচারীদের অবদান সম্পর্কিত নতুন প্রস্তাব।

পেনশন এবং অবসরকালীন সুবিধার উন্নতি করা হবে। নির্ধারিত শতাংশ অনুসারে বেতন এবং পেনশনে অবিলম্বে মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) এবং মহার্ঘ্য ত্রাণ (ডিআর) অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ। চিকিৎসা সুবিধার উন্নয়ন (CGHS), শিশু শিক্ষা সহায়তা (CEA) আরও সুবিধা মিলবে।