দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে এ বছর ইলিশের মরসুমের দ্বিতীয় ভাগ থেকে হাজার টনেরও বেশি ইলিশ উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। দীঘা, কোলাঘাট, ডায়মন্ড হারবার থেকে কয়েকশো টন ইলিশ দফায় দফায় পৌঁছেছে এ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে।
এ বছর ইলিশের জোগানে গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে, তবে দাম এখনও সেভাবে কমেনি। তবে শীঘ্রই বেশ কিছুটা কমতে পারে দেশীয় জোগানের ইলিশের দাম।
কারণ, প্রায় ২৫০০ টন বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকতে চলেছে ভারতে। যার সিংহাসভাগই থাকবে এই বাংলার বাজারে। তাই পুজোর আগে ইলিশের দাম কমার পাশাপাশি পদ্মা-মেগনার মাছ পাতে পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন এ রাজ্যের ভোজনরসিকরা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই হাজার টন (২,৪৫০ টন) ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ইলিশ ভারতে আমদানি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
গত বছরেও সাড়ে ৪ হাজার টনেরও বেশি ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে সে সময় যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়, তার মধ্যে সমস্ত মাছ ভারতে আনা সম্ভব হয়নি।
ফলে সরকারি অনুমতি মিললেও মাছ সে ভাবে হাতে পাননি এ পার বাংলার ভোজনরসিকরা। তবে এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২,৪৫০ টন ইলিশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলেই মনে করছে বাংলাদেশের ফিস ইমপোর্টারর্স অ্যাসোসিয়েশন।
তাই মনে করা হচ্ছে, গত বছরের মতো এ বছর বাংলাদেশের ইলিশের জন্য আক্ষেপ করতে হবে না এ রাজ্যের মানুষকে। তবে মাছের দাম কি কমবে?