সরকারী খাতের ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারী খাতের হাতে তুলে দেওয়ার সরকারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দু'দিনব্যাপী দেশব্যাপী ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
নয়টি পাবলিক সেক্টরের ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন, ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি এই ধর্মঘটের ফলে ব্যাঙ্কগুলি ১৫ এবং ১৬ মার্চ বন্ধ ছিল। এতে প্রায় ১০ লাখ কর্মচারী ও ব্যাঙ্ক কর্তা অংশ নেন।
ধর্মঘটের পরেও মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। ওই দিনগুলোয় কোনও শাখা থেকেই মিলবে না ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তো বটেই, এ রাজ্যেও আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! পশ্চিমবঙ্গেও ২৭ মার্চ এবং ২৮ মার্চ ব্যাঙ্কের কোনও শাখা থেকেই মিলবে না পরিষেবা। কারণ, এই দু’দিন মাসের চতুর্থ শনিবার এবং রবিবার হওয়ার ফলে বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক।
২৯ তারিখ দেশের অন্যান্য রাজ্যে হোলি উপলক্ষে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও এ রাজ্যে মিলবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। চলতি মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ৩১ মার্চেও এ রাজ্যে খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক, মিলবে সমস্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
এ দিকে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই বার্ষিক ব্যাঙ্ক ক্লোজিং ডে উপলক্ষে মিলবে না কোনও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। ১ এপ্রিল বার্ষিক ব্যাঙ্ক ক্লোজিং ডে-র ছুটির পর দিনই ২ এপ্রিল গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।
২৭ মার্চ এবং ২৮ মার্চের পর ১ এবং ২ এপ্রিল— সব মিলিয়ে মোট ৪ দিন বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক। কিন্তু ওই দিনগুলিতে ATM পরিষেবা বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা মিলবে তো?
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের টানা ছুটিতেও স্বাভাবিক ভাবেই মিলবে ATM পরিষেবা বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। এখন অধিকাংশ মানুষই নেট ব্যাঙ্কিং বা ATM পরিষেবার উপর নির্ভনশীল।