বাজারে এসে গেছে বহু প্রতীক্ষিত পদ্মার ইলিশ। বুধবার বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ ভর্তি ট্রাক ঢোকে উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রাপোল স্থল বন্দরে।
দিন কয়েক আগে বাংলাদেশ সরকার পুজো উপহার হিসাবে ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। সেই উপহারের অঙ্গ হিসেবে এদিন প্রথম গাড়িগুলিতে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ হাওড়ার মাছ বাজারে আসে। খুশি মাছ ব্যবসায়ীরা।
হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,৫০০-১,৭০০ টাকা কেজি হিসাবে। ফলে খুচরো বাজারেও ইলিশের আগুন দাম। মধ্যবিত্তরা দাম কমার অপেক্ষায়।
ইলিশ রফতানি ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দুর্গাপুজোর সময়ে ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ রফতানি হয়ে আসছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে।
কিন্তু কত কেজি ওজনের ইলিশ সবথেকে টেস্টি হয়? এই প্রশ্ন উঁকি দেয় অনেকের মনে।
কলকাতার মানিকতলা বাজার সমিতির সভাপতি বাবলু দাস বললেন, 'পদ্মার ইলিশ সবথেকে সুস্বাদু হয় ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২৫০ গ্রামের। এর বেশিও নয়, কমও নয়। মাছটা কিনতে হবে একটু কাঁচা দেখে।'
হাওড়ায় আসা ইলিশগুলির ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির মধ্যে ছিল বলে জানা গেছে।
ধাপে ধাপে সরবরাহ — ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ধাপে ধাপে ইলিশ আমদানির পরিমাণ বাড়বে।
শেখ হাসিনার আমল থেকেই ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ। তবে গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর আগে সৌজন্যের ইলিশ রফতানি করছে তারা।
কলকাতার খোলা বাজারে এই মাছগুলির কেজি পিছু দাম হতে পারে আনুমানিক দুই হাজার টাকা। আগামী দিনে পেট্রাপোল দিয়ে আরও ৭-৮টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে বলে ওই আমদানিকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
বাংলাদেশ থেকে এ বার পুজোয় ইলিশ রফতানি করা হবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত এ বারও পুজোর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে।