গত কয়েক দিনে বজ্রাঘাতে বাংলায় অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারান বজ্রাঘাতে! এমনই তথ্য উঠে আসছে সরকারি হিসাব থেকে। আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা, আবহাওয়া দফতরের আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও এখনও মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বজ্রাঘাতে।
ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট অবসারভিং সিস্টেমস প্রমোশন কাউন্সিল (CROPC), ইন্ডিয়া মিটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (IMD), ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটেওরোলোজি, ইন্ডিয়া মিটিওরোলজিকাল সোসাইটি এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্ডিয়ার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতে সবচেয়ে বেশি বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় মহারাষ্ট্রে।
ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারতে বজ্রাঘাতে ২,৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ভারতে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার এক তৃতীয়াংশই প্রাণ হারান বজ্রাঘাতে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে বজ্রাঘাতে প্রতি বছর যত জনের মৃত্যু হয় তার মাত্র ৪ শতাংশ ঘটে শহরাঞ্চলে। বাকি ৯৬ শতাংশ বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দেশের গ্রামাঞ্চলে।
ভারতে সবচেয়ে বেশি বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশে। বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং বিহার। এর পরেই রয়েছে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের স্থান। বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছনে রয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটেওরোলোজির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ভারতে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ওড়িশায়। ওই রাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ১১ লক্ষ ২০ হাজার বার বজ্রপাত হয়। যদিও ওই রাজ্যে বছরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় ২০০ জনের।
২০১৫ সালে কেন্দ্র প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত বা ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৪ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। এর মধ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।