
গত এক মাসে সোনা ও রুপোর দামে উল্লেখযোগ্য ভাবে উত্থান পতন দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার সোনার দাম প্রায় হাজার টাকা এবং রুপোর দাম ১ হাজার ৬০০ টাকারও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার আবার সেই একই পরিমাণে দাম বেড়েছে সোনা ও রুপোর।

MCX সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা এবং রুপোর দাম প্রতি কেজিতে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০৬ টাকা। বৃহস্পকিবার সোনার দাম ৮০০ টাকা এবং রুপোর দাম প্রায় ২ হাজার টাকা বেড়েছে। এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোনা ও রুপো কেনার জন্য এটিই সবচেয়ে ভাল সময়।

সোনা ও রুপোর দাম বর্তমানে তাদের রেকর্ড সর্বোচ্চ দামের তুলনায় অনেক কম রয়েছে। MCX অনুসারে, সোনার দাম অক্টোবরে প্রতি ১০ গ্রাম পৌঁছে গিয়েছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২৯৪ টাকায়। তবে বৃহস্পতিবার এর দাম ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এটি এখনও ৯ হাজার টাকা সস্তা।

একই ভাবে রুপোর দাম তার রেকর্ড সর্বোচ্চ১ লক্ষ ৭০ হাজারের তুলনায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা কম রয়েছে বৃহস্পতিবার।

সোনার দাম এখনও কেন আরও বেশি হবে? সোনার দাম বৃদ্ধির সবচেয় বড় কারণ দেশে বিয়ের মরশুম শুরু হয়ে যাওয়া। যার ফলে সোনার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চলতি বছরের শেষ থেকে ২০২৬ সালের শুরুর মধ্যে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে।

লক্ষ্মী ডায়মন্ডসের চেয়ারম্যান এবং এমডি চেতন মেহতা বলেন, 'দীপাবলির সময়ে গয়না বিক্রেতাদের বিক্রি ভাল ছিল। তবে তার পরের ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে বিক্রির হার তীব্র ভাবে কমে গিয়েছে।'

চেতন মেহতার মতে, দীপাবলির সময়ে লোকেরা তাদের পুরনো সোনার বদলে নতুন গয়না কিনে নেয়। তবে এখন বিয়ের মরশুম হওয়ায় বাজারে ভিড় বাড়ছে।

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর প্রত্যাশা কমিয়ে গিয়েছে এবং অনুমান করা হচ্ছে, সুদের হার স্থিতিশীল থাকতে পারে। ফলস্বরূপ, সোনা ও রুপোর দামে অস্থিরতার সম্ভাবনাও কমতে পা

তৃতীয় প্রধান কারণ হল, মুনাফা বুকিং। মতিলাল ওসওয়াল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের মানব মোদী বলেছেন, 'এ বছর সোনার দাম ইতিমধ্যেই ৬০-৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর মুনাফা বুকিং হয়েছে। তবে বেশি কিছুদিন ধরে সোনা ও রুপোর দাম স্থিতিশীল হবে বলে মনে হচ্ছে।'

কিছু বিশেষজ্ঞ আর পরামর্শ দেন, বাস্তবিক সোনা ও রুপোর পরিবর্তে মানুষের ETF সোনা ETF রুপো কেনার কথা বিবেচনা করা উচিত। এতে অল্প পরিমাণে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে সোনা ও রুপোর ETF-তে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।