বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণের চাপে বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে ১০টা আর দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বাজার। কিন্তু আগামী ১৪ দিন রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ হতেই ঘুরপথে বাজার দর বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকেই!
লোকাল ট্রেনে পণ্য পরিবহণের ব্যায় সড়ক পথে পণ্য পরিবহণের তুলনায় অনেক কম। তাই লোকাল ট্রেন বন্ধ হতেই সড়ক পথে পণ্য পরিবহণে আকাশছোঁয়া তেলের দাম প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
গত লকডাউনে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হতেই চাহিদার তুলনায় জোগানের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তাছাড়া বাজারের ডিজেলের দামও প্রভাব ফেলেছিল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর। এ বারও সেই আতঙ্ক ফিরছে সাধারণ মানুষের মনে।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে জুড়তে চলেছে অতিরিক্ত পরিবহণ ব্যায়, জ্বালানির খরচ! চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার কলকাতায় কত যাচ্ছে মাছ, মাংস, শাক-সবজির বাজার দর (স্থানীয় বাজার দরে সামান্য হের ফের হতে পারে)।
জ্যোতি আলু ১২-১৪ টাকা প্রতি কিলো (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ৭-১০ টাকা), চন্দ্রমুখী আলু ১৫-১৮ টাকা কিলো (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ১০-১২ টাকা)। পেঁয়াজ প্রতি কিলো ৩০-৩৫ টাকা (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ২০-২৫ টাকা), আদা প্রতি কিলো ৮০ টাকা, কাঁচালঙ্কা প্রতি কিলো ৮০ টাকা।
উচ্ছে প্রতি কিলো ৩০ টাকা, কুমড়ো প্রতি কিলো ২০ টাকা, ইচড় ৪০ টাকা কিলো, লাউ প্রতি কিলো ২০ টাকা, গাজর প্রতি কিলো ৩০ টাকা, টমেটো প্রতি কিলো ২০ টাকা।
কাঁচা আম ৪০ টাকা কিলো, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা প্রতি কিলো, ঢ্যাঁড়স প্রতি কিলো ৩০ টাকা, পটল প্রতি কিলো ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা কিলো, ঝিঙা ৩০ টাকা কিলো, সজনে ডাঁটা ৪০ টাকা কিলো।
রুই মাছ (গোটা) প্রতি কেজি ১৬০-১৮০ টাকা, রুই মাছ (কাটা) প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা, কাতলা মাছ (গোটা) প্রতি কেজি ২২০-২৫০ টাকা, কাতলা মাছ (কাটা) প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা।
তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১২০-১৫০ টাকা, ভোলা মাছ প্রতি কেজি ১৮০-২২০ টাকা, ভেটকি মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০-৭০০ টাকা।