কিছুটা সস্তা হয়েছে টমেটো, কুমড়ো, বেগুন। অনেকটা দাম কমেছে ঢ্যাঁরস, পটলেরও। তবে অগ্নিমূল্য মাছ, মাংস। গোটা কাতলার দামে বিকোচ্ছে চিকেন। ফলে বাজারের ব্যাগ ভরাতে পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তর।
তবে এই প্যাচপ্যাচে গরমে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে পাতিলেবুর দাম কমায়। গত দুই সপ্তাহে পাতিলেবুর দাম বেশ কিছুটা কমেছে। এপ্রিলে ১০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতিলেবু এখন ৪-৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কলকাতার লেকমার্কেট, গড়িয়াহাটে পাতিলেবু এখন ৫ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারে ১০ টাকায় ৩টে লেবুও পাওয়া যাচ্ছে। আকার অনুযায়ী, কোথাও আবার ২০ টাকায় ৫ পিস পাতিলেবু বিক্রি হচ্ছে।
টালিগঞ্জ, কসবা, বালিগঞ্জ, লেক মার্কেট থেকে শুরু করে বিধাননগর— সর্বত্রই পাতিলেবুর দর অনেকটাই কমেছে। এপ্রিলে শুধু এ রাজ্যে নয়, গোটা দেশেই বেড়েছিল পাতিলেবুর দর। পাইকারি বাজারে পাতিলেবুর দর প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
এ রাজ্যে মূলত দক্ষিণ ভারত থেকেই পাতিলেবুর আমদানি করা হয়। এ বছর দেশের ওই অংশে অতিবৃষ্টি, বন্যার ফলে লেবুর ফলন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে বাজারে জোগানেরও ঘাটতি দেখা দেয়।
বালিগঞ্জের এক সবজি বিক্রেতা জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক আর গুজরাট থেকে লেবুর আমদানি বেড়েছে। বাজারে জোগান বেড়ে যাওয়ায় পাতিলেবুর দর প্রায় এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ কমেছে।
এবার কাঁচা লঙ্কার দামের প্রসঙ্গে আসা যাক। এপ্রিলে কলকাতার পাইকারি বাজারে প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) কাঁচা লঙ্কা ১০,০০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে খুচরো বাজারেও কাঁচা লঙ্কা ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।