প্রায় সকলকেই ফাটা-ছেঁড়া টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। শুধু ফাটা-ছেঁড়া নয়, ময়লা, রং লাগা বা লেখালিখিতে ভরা টাকা নিয়েও নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
ফাটা-ছেঁড়া, ময়লা, রং লাগা বা লেখালিখিতে ভরা টাকা অনেকেই নিতে অস্বীকার করেন। দোকানে, বাজারে ছাড়াও এই ধরনের নোট কোনও কোনও ব্যাঙ্কের শাখাতেও নিতে অস্বীকার করে।
আসলে কোন ধরনের টাকা বিনিময়যোগ্য আর কোন নোটগুলি ‘অচল’, এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই! তাই ফাটা-ছেঁড়া, ময়লা, রং লাগা বা লেখালিখিতে ভরা টাকা হাতে পড়লেই চিন্তা বাড়ে সাধারণ মানুষের।
ফাটা-ছেঁড়া, ময়লা, রং লাগা বা লেখালিখি থাকা সত্ত্বেও কোন নোটগুলি বিনিময়যোগ্য আর কোনগুলি ‘অচল’, এ সম্পর্কে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক RBI-এর ওই নির্দেশিকা সম্পর্কে...
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ওই নির্দেশিকায় সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, কোনও ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকের থেকে ফাটা-ছেঁড়া, ময়লা, রং লাগা বা লেখালিখি থাকা টাকা নিতে অস্বীকার করতে পারবে না।
সাধারণ মানুষ শুধু নিজের ব্যাঙ্কেই নয়, যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়েই ফাটা-ছেঁড়া, ময়লা, রং লাগা বা লেখালিখি থাকা টাকা বদলে নিতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক না হলেও এই ধরনের টাকা বদলের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক তাঁকে ফেরাতে পারে না।
কোনও নোটের গায়ে রং, দাগ বা লেখালিখি আছে, তাহলে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়েই সেটি বদলে ফেলা যাবে এবং সমান মূল্যের অর্থ গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যাবে। আর ফাটা-ছেঁড়া টাকা যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নেওয়া যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে RBI-এর নোট বদলের যে বিধি রয়েছে, সেই বিধি মেনেই নোট বদল করা হবে।
তবে টাকার কোনও অংশ পুড়ে গেলে বা আঠা দিয়ে জোড়া থাকলে সেটি বদলের ক্ষেত্রে যেতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। ওই ধরনের নোট বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত অফিসার।