উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। বেশি বৃষ্টি হলেই পেটে অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। বিশেষ করে ডায়েরিয়া, কলেরার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে।
যেখানেই বেশি বৃষ্টি হয় তার কয়েকদিন পরই দেখা যায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পেটের রোগ দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যে। আট থেকে আশি কেউ মুক্তি পাচ্ছে না সেই রোগের প্রকোপ থেকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়।
তাই যদি রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চান তাহলে জল খাওয়ার কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি সেই নিয়ম না মানেন তাহলে পেটের সমস্যা বাড়বে। পেটে সংক্রমণ হলে জ্বর, পাতলা পায়খানার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
আসলে বৃষ্টির জমা জল, পুকুর ও নালার দূষিত জল থেকে আন্ত্রিক, ডায়েরিয়ার মতো রোগও ছড়ায়। পেটখারাপ, বমির সমস্যা দেখা যায়। বাড়ির সামনে নিকাশি নালার জল দিয়ে গৃহস্থালির কাজ করলে রোগের প্রকোপ বাড়ে।
সেজন্য চিকিৎকদের পরামর্শ, ভরা বর্ষায় বা বৃষ্টি বেশি হলে কখনও ট্য়াপের জল সরাসরি পান করবেন না। আগে ফুটিয়ে নেওয়া ভালো।
বাড়িতে ওয়াটার ফিল্টার বা পিউরিফাইয়ার থাকলে ভালো। বর্ষার পরে সেটাও একবার পরিষ্কার করে নিন।
যে বোতলে জল পান করছেন সেটা পরিষ্কার রাখুন। প্লাস্টিকের বোতল ত্যাগ করা ভালো। সবচেয়ে নিরাপদ হল কাচের বোতল।
তবে কাচের বোতলেও শ্যাওলা পড়তে পারে। সেজন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পরিষ্কার করুন।
রান্না করা খাবার দাবার সব সময় ঢেকে রাখুন। খোলা জায়গায় রাখবেন না। বাসি খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। খেলেও তা ওভেনে গরম করে খান।
আর যদি দেখেন হাত পায়ে ব্যথা, জ্বর, গায়ে বমি বা পাতলা পায়খানা হচ্ছে তাহলে সত্বর ডাক্তার দেখান।