কুমড়ো, বেগুন, টমেটো কিছুটা সস্তা হয়েছে। দাম কমেছে ঢ্যাঁরস, পটলেরও। তবে গরমের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম। সেই সঙ্গে বাজার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক মরসুমি আনাজও। মাছ, মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী।
কিন্তু গত ৭ দিনে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পাতিলেবু আর কাঁচা লঙ্কার দর। গত ৭-১০ দিনে প্রায় ৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে পাতিলেবুর দাম। আর কাঁচা লঙ্কার দরও এই ক’দিনে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
মার্চে ১০ টাকায় যেখানে ৪-৫টা পাতিলেবু পাওয়া যেত, তার দাম এখন বাড়তে বাড়তে ১০ টাকা পিস হয়েছে। কসবা, বালিগঞ্জ, লেক মার্কেট, টালিগঞ্জ থেকে শুরু করে বিধাননগর— সর্বত্রই পাতিলেবুর দর প্রায় ৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
কেন এতটা বাড়ল পাতিলেবুর দর? কসবার এক সবজি বিক্রেতা জানান, এমনিতেই গরম পড়লে সরবৎ বা খাওয়ার পাতে পাতিলেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকলে দামও খানিকটা বাড়ে।
পাইকারি বাজারে ১০০টা পাতিলেবুর দর ক’দিন আগেই যেখানে ২০০ টাকা ছিল, বর্তমানে সেই দাম বাড়তে বাড়তে ৬০০-৭০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। খুচরো বাজারে এই দাম আরও কিছুটা বেশি। ফলে সাধারণ মানুষের হাতে যখন পৌঁছাচ্ছে, তখন একেকটা পাতিলেবুর দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১০ টাকা।
এ বছর পাতিলেবুর দর এতটা বাড়ল কেন? বাংলার বাজারে মূলত দক্ষিণ ভারত থেকে পাতিলেবু আমদানি করা হয়। এ বছর দেশের ওই অংশে অতিবৃষ্টি আর বন্যার ফলে লেবুর উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজারে জোগানেরও ঘাটতি রয়েছে।
এবার কাঁচা লঙ্কার ঊর্ধ্বমুখী দামের বিষয়ে আসা যাক। মার্চের শেষের দিকেও কাঁচা লঙ্কা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে খুচরো বাজারে। পাইকারি বাজারে এর দাম আরও কম ছিল। কিন্তু গত দিন সাতেকে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে কাঁচা লঙ্কার দাম।
মার্চের শেষে যেখানে কলকাতার বাজারে প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) কাঁচা লঙ্কা ৭০০০-৭৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেখানে এখন পাইকারি বাজারেই প্রতি কুইন্টাল কাঁচা লঙ্কার দর ১০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে খুচরো বাজারে কাঁচা লঙ্কা এখন ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।