বুড়ো বয়সে এখন থেকে নো টেনশন। মাসে মাত্র ৪২ টাকা জমা করুন। সরকার দেবে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন। এই সুবিধা নিতে দেরি যেন না হয়। নজরে রাখবেন। সুযোগ হাতছাড়া হলেই মুশকিল।
৪২ টাকা। অর্থাৎ একটা এগরোলের দামে বিমার রাশি লগ্নি করতে হবে। সরকারি পেনশন স্কিম অটল পেনশন যোজনাতে ইনভেস্টমেন্ট বেড়ে ২ কোটি ৮৮ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে এই তথ্য দিয়েছে ভারত সরকার।
গত এক বছরে অটল পেনশন যোজনায় যাঁরা অংশীদার, তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে ৩৩.৯৫ শতাংশ। এক বছর আগে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২.১৫ কোটি টাকা। আসলে গত এক বছরের ৭৬ লক্ষ লোক অটল পেনশন যোজনায় লগ্নি করেছেন।
নরেন্দ্র মোদী পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার পেনশন যোজনায় ২০১৫ সালের মে মাসে শুরু করেছিল। হঠাৎ পাঁচ বছরে প্রায় ৩ কোটি লোক অটল পেনশন যোজনার আওতায় এসেছে। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এই পেনশন যোজনা যুক্ত হয়েছে মানুষ।
বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক চিন্তা, ওষুধের খরচের পাশাপাশি সংসার খরচ চালাতে অনেক হিমশিম খান। কর্মহীন হয়ে জীবন যাপন করা তাঁদের পক্ষে দুঃসহ হয়ে পড়ে। তাদের জন্যই প্রকল্প অত্যন্ত লাভজনক অটল পেনশন যোজনা পেতে হলে প্রত্যেক মাসে নির্ধারিত অংকে অর্থ জমা করতে হবে। তাহলে ১ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে পেনশন মিলবে।
৪২ টাকা প্রতি মাসে জমা করলেই শুরু হয়ে যাবে পেনশন স্কিম। ২১০ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে দেওয়া যেতে পারে এই প্রকল্পে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে ব্যাংকে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার। ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড এবং একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকতে হবে।
তাহলেই সুবিধা মিলবে। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, বেকার অথবা কোনও ব্যবসায়ী। যে কেউই অটল পেনশন যোজনা সুবিধা নিতে পারে। ভারত সরকারের জন্য আপনাকে ন্যূনতম পেনশনের গ্যারান্টি দেয়, যদি আপনার বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত হয়, তাহলে আপনি এই যোজনার লাভ নিতে পারবেন।
৬০ বছর বয়সের পর থেকে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যায় টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে থাকবে। এই প্রকল্পে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং সর্বাধিক ৫ হাজার টাকা মাসে পেনশন পাওয়া যাবে।
যদি কারও বয়স ১৮ বছর হয় এবং সে ৬০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা করে, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে পেনশন পেতে চায়, তাহলে তাঁকে প্রত্যেক মাসে ২১০ টাকা জমা করতে হবে। এই প্রকল্পে একটা সুবিধা আছে, যদি লগ্নিকারী মাঝখানে মৃত্যু হয়ে যায়, তাহলে তার নমিনি সম্পূর্ণ সুবিধা পাবে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত যত টাকা লগ্নিকারী জমা করেছিল, সমস্ত থাকা নমিনিকে ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি যদি ৬০ বছরের আগে লগ্নিকারী নিজেই টাকা ফেরত তুলে নিতে চায় তাহলে সেই পরিস্থিতিও কিছু স্বার্থের বিনিময়ে সম্ভব।
অটল পেনশন যোজনার জন্য ব্যাংকে বা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে এবং বেশিরভাগ নাগরিকেরই কোনও না কোন জায়গায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখান থেকেই অটল পেনশন যোজনার জন্য আবেদন জানানো যেতে পারে। বাড়ি বসে নেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে করা যেতে পারে বা যাদের সে সুবিধা নেই বা যাঁরা পারবেন না, তাঁরা ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক কর্মীদের বললে তাঁরাই খুলে দেবেন। প্রতিমাসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে যাবে।