করোনাকালে হকারদের দৈনিক রুজি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। এই ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার 'স্বনিধি' যোজনা শুরু করেছে। করোনার সংকটের মধ্যে, দেশের জনতা বড় আকারে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার সুবিধাগুলি গ্রহণ করছে।
করোনার সঙ্কটের মাঝে ২ জুলাই এই প্রকল্পটি চালু করা হয। প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি স্কিমের আওতায় এখনও পর্য়ন্ত ২৫ লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে লক্ষাধিক মানুষের আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। যার মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকেই সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি আবেদন এসেছে। এর মধ্যে ৩.২৭ লক্ষ আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। উত্তর প্রদেশে, স্বানিধি যোজনার ঋণ চুক্তির জন্য স্ট্যাম্প শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
করোনা কালে বড় শিল্প থেকে শুরু করে দিনমজুর সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ। ব্যবসা আবার শুরু হয়েছে। তবে এখনও প্রচুর সংখ্যায় এমন লোক আছেন যারা হকারি করে সংসার চালান, তারা বিনা মূলধনের কারণে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেননি।
আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ততের তালিকায় উপরেই রয়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ হকার, ভেন্ডরেরা। মোদী সরকার আবার ব্যবসা শুরু করার জন্য লকডাউন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার বিক্রেতাদের 'স্বনিধি' প্রকল্পের অধীনে মূলধন সরবরাহ করছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বনিধি যোজনার সুবিধা নিতে ইতিমধ্যে হকারদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি স্কিমের আওতায় রাস্তার বিক্রেতারা (রাস্তার বিক্রেতারা) ১০,০০০ টাকার ঋণ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কেবল ঋণ দেওয়া নয়, রাস্তার বিক্রেতাদের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনীতিক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আপনি যদি মূলধনের অভাবে রাস্তায় হকারি করতে অক্ষম হন তবে কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি স্কিমের আওতায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এর জন্য আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কে গিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
করোনার সঙ্কটের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার স্বনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় এই প্রকল্পটি শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৫০ লক্ষ লোককে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ'ল এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ নেওয়ার কোনও গ্যারান্টি নেই।