২০১৫ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন একটি বিমা প্রকল্প শুরু করেছিলেন যেখানে বছরে মাত্র ৩৩০ টাকার প্রিমিয়াম দিয়ে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাওয়া যায়। এই স্কিমের নাম- প্রধানমন্ত্রীর জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা। আসুন জেনে নিই এই স্কিমের বিশেষত্ব কী এবং কীভাবে এর সুবিধা নেওয়া যাক...
১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কোনও ভারতীয় নাগরিক এই বিমা করাতে পারেন। জীবন জ্যোতি বিমা পলিসির ম্যাচুরিটি ৫৫ বছরে। এই টার্ম প্ল্যানটি প্রতি বছর রিনিউ করতে হবে।
শুনলে অবাক হতে পারেন, এই কেন্দ্র সরকারি বিমার বাৎসরিক প্রিমিয়াম মাত্র ৩৩০ টাকা। করোনায় মৃত ব্যক্তির যদি এই বিমা করা থাকে, তাহলে বিমাকারীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার বা নমিনি ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন!
এই Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Bima Yojana-র আওতায় বিমা করাতে হলে কোনও রকম মেডিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। দেশের যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে অথবা বাড়িতে বসে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে আপনার ব্যাঙ্ক থেকেই এই বিমা পলিসি কেনা যায়।
নিজের ব্যাঙ্ক থেকেই Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Bima Yojana কিনতে পারবেন ৫০ বছরের কম যে কোনও ব্যক্তি। অপঘাতে মৃত্যু বা আত্মহত্যার ঘটনাতেও এই বিমার ক্ষেত্রে পরিবার টাকা পেতে পারে।
বছরের যে কোনও সময়ে Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Bima Yojana কেনা যেতে পারে। দু’মাস বা তিন মাসের ছোট ছোট কিস্তিতেও Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Bima Yojana-র প্রিমিয়াম দেওয়া যায়।
বিমাকারী যে ব্যাঙ্ক থেকে Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Bima Yojana কিনবেন এবং এর প্রিমিয়াম দেবেন, তাঁর মৃত্যুর পর সেই ব্যাঙ্কেই বিমার টাকা ক্লেম করতে পারবেন এর নমিনি।
সাধারণত, এই ধরনের বিমার টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিমাকারীর মৃত্যুর ৩০ দিনের মধ্যেই বিমার টাকা ক্লেম করতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ-সহ মেডিক্যাল রিপোর্ট, ডেথ সার্টিফিকেট পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে কি পাওয়া যাবে Jeevan Jyoti Bima-র টাকা?