আগামী এপ্রিল থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনের বেশ কিছু ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। এর ফলে পেইনকিলার বা ব্যথা নাশক ওষুধ, সংক্রমণ-রোধী ওষুধ, হৃদরোগের ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বাড়তে চলেছে।
গত শুক্রবার National Pharmaceuticals Pricing Authority of India (NPPA) জানিয়েছে, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচকে ০.৫ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে বলে কেন্দ্র ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওষুধের এই মূল্যবৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছে।
কিন্তু বিগত প্রায় এক বছরে চিন থেকে আমদানি করা ওষুধের কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলি এতে খুশি নয়। তাদের দাবি, ওষুধের দাম অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
বলে রাখা ভাল, ভারতে তৈরি হওয়া ওষুধের প্রায় ৭০ শতাংশ কাঁচামাল আসে চিন থেকে। উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের একাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর জুনের পর ওষুধ তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে চিনা সংস্থাগুলি।
কাঁচামালের দাম এক ধাক্কায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব এবার সরাসরি পড়বে ওষুধের দামের উপরে। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ— এই দুই রাজ্যে সব মিলিয়ে চারশোরও বেশি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা চিনের অন্তত ১২টি কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীল।
ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলির দাবি, ওষুধ শিল্পে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে। ওষুধ তৈরিতে মূলত দু’ ধরনের উপকরণ কাজে লাগে। এক, অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (API)। দুই, কেমিক্যালি অ্যাক্টিভ এক্সসিপিয়েন্টস (CAE)।