স্কুল পালিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দাবা খেলাতেই বেশি মনোযোগ ছিল। কম উপস্থিতির কারণে ফাইনাল পরীক্ষাও দিতে পারেননি। স্কুলের গণ্ডিই পেরোননি জীবনে। আর সেই ছেলেটিই আজ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়র।
৩৪ বছর বয়সী নিখিল কামাথ বর্তমানে দেশের কোটিপতিদের তালিকায় উঠে এসেছেন। ২০১০ সালে নিখিল তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গে মিলে নিজের কোম্পানি 'জিরোধা' খুলে ফেলেন। যেটি কিনা একটি ট্রেডিং কোম্পানি। দেশের সবচেয়ে বড় ব্রোকারেজ সংস্থা এটি।
১৪ বছর বয়সেই এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে পুরানো ফোন কেনা বেচার ব্যবসা শুরু করেছিলেন নিখিল। কিন্তু তাঁর মা সেই খবর জানতে পারলে সব ফোন বাথরুমে ফেলে দেন। ফলে সেই ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায়।
নিখিল কামাথের কথায়, ততদিনে স্কুলের প্রতি তার বিরক্তি এসে গিয়েছিল। তিনি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিলে স্কুলের তরফে তাঁর বাবা-মাকে ডেকে পাঠানো হয়।
এরপর ১৭ বছর বয়সে কল সেন্টারে চাকরি পেয়ে কাজ শুরু করেন নিখিল। তাও আবার জন্মের শংসাপত্র জালিয়াতি করে। বেতন ছিল ৮০০০ টাকা। বিকেল ৪ টে থেকে রাত ১টা পর্যন্ত শেখানেই কাজ করতেন।
১৮ বছর বয়সে শেয়ারবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করা শুরু করেন নিখিল। সেখান থেকেই অনেক কিছু শিখেছিলেন।নিখিল জানিয়েছেন, তাঁর কল সেন্টারে চাকরির শেষ বছর তিনি ১ দিনও অফিস যাননি, কারণ ততদিনে শেয়ারবাজার থেকে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করা শুরু করেছিলেন।
এরপর তাঁর বাবা নিখিলকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন । তিনিই কিছু টাকা দিয়ে সেগুলি শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলেন। পরে নিখিলের কল সেন্টারের ম্যানেজারও তাঁকে তাঁর অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে দেন।
২০১০ সালে নিখিল তাঁর বড় ভাইয়ের সঙ্গে মিলে নিজের কোম্পানি 'জিরোধা' খুলে ফেলেন। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।