দেশের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ সুরক্ষিত ও সুনিশ্চিত আয়ের উৎস হিসাবে Fixed Deposit বা স্থায়ী আমানতের উপর ভরসা রাখেন।
সমস্ত ব্যাঙ্কেই ১ বছরের তুলনায় ৫ বছরের মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কম। সেভিংস অ্যাকাউন্টের তুলনায় Fixed Deposit-এ ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল সংস্থাগুলি (NBFC) বেশি সুদ দেয়।
করোনা অতিমারির ধাক্কায় দেশের অধিকাংশ মানুষের সঞ্চয় যখন তলানিতে এসে ঠেকেছে, তখন Fixed Deposit বা স্থায়ী আমানতেও TDS কাটা গেলে কিছুটা হলেও টান পড়ে সঞ্চয়ে।
Fixed Deposit বা স্থায়ী আমানতে প্রাপ্ত সুদও করের আওতাধীন। স্থায়ী আমানতে প্রাপ্ত সুদেও TDS কাটা হয়। তবে, এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে।
ষাটোর্ধ্ব থেকে ৮০ বছর বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার মধ্যে, তাঁদের স্থায়ী আমানতে কোনও TDS কাটা হয় না।
এ ছাড়া, বিনিয়োগকারীর বার্ষিক আয় ২.৫ লাখ টাকার কম, সে ক্ষেত্রে তাঁদের Fixed Deposit বা স্থায়ী আমানতে প্রাপ্ত সুদে TDS কাটা হয় না।
আশি বছরের উর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁরা তাঁদের বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনও TDS কাটা হয় না। তবে এর জন্য দু’ধরনের ফর্ম রয়েছে। ষাটের কম বয়সীদের জন্য 15G ফর্ম আর ষাটোর্ধ্বদের জন্য 15H ফর্ম।
এমনিতেই আয়কর আইনের 194A ধারা অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিককে ব্যাংক, ডাকঘর বা সমবায় ব্যাংক থেকে পাওয়া ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদের অঙ্কে কোনও TDS কাটা হয় না।