গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে করোনা বিধি-নিষেধ শিথিলের পর থেকেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার আশায়, বাড়ির বাইরে পা রেখেছেন অনেক ঘর-বন্দি মানুষ। কিন্তু সরকারি অনুমতির পরেও রাস্তায় বেসরকারি বাসের দেখা মিলছে না।
—প্রতীকী ছবি।
আকাশছোঁয়া ডিজেলের দাম। তার উপর ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে কোভিড বিধি মেনে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপুল ক্ষতির চাপ সামাল দেওয়া যাবে না বলেই পথে নামেনি অধিকাংশ বেসরকারি বাস।
—প্রতীকী ছবি।
বছর দেড়েক আগে পর্যন্ত এ রাজ্যে প্রায় ৪২ হাজার বাস চলত। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয়! সরকারি ছাড়পত্র মিললেও তাই লোকসানের ধাক্কায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বেসরকারি বাসই বসে গিয়েছে।
—প্রতীকী ছবি।
এই পরিস্তিতিতে কয়েকটি জেলায় হাতে গোনা বেসরকারি বাস চলছে। অভিযোগ উঠছে এদের অনেকেই নাকি ডিজেলের পরিবর্তে সস্তার কেরোসিনে বা ‘কাটা তেল’ দিয়ে বাস চালাচ্ছে! এর ফলে লিটারে অন্তত ২০ টাকা এবং সারাদিনে অন্তত ১,২০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে প্রতি বাসের।
—প্রতীকী ছবি।
আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরোসিনের সঙ্গে মোবিল মিশিয়ে বাস, মিনিবাস চালাচ্ছেন বর্ধমান শহর, গুসকরা, মেমারি থেকে কাটোয়ার বেশ কিছু বাস মালিক।
—প্রতীকী ছবি।
ওই প্রতিবেদন বা এই কেরোসিনে বা ‘কাটা তেল’ দিয়ে বাস চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক (জেনারেল সেক্রেটারি) তপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
—প্রতীকী ছবি।
ডিজেলের পরিবর্তে সস্তার কেরোসিনে বা ‘কাটা তেল’ দিয়ে বাস চালালে কী সমস্যা হতে পারে? এর ফলে কার্বন মনোক্সাইড ও ধূলিকণা বেশি নির্গত হয় বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ে। মারাত্মক প্রভাব পড়ে পরিবেশে।
—প্রতীকী ছবি।
কেরোসিনে বা ‘কাটা তেল’ দিয়ে বাস চালালে শুধু পরিবেশ দূষণই নয়, আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে! অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কেরোসিন দিয়ে গাড়ি চালালে ইঞ্জিনের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বাসের তেল সরবরাহের পাম্পেরও ক্ষতি হয়।
—প্রতীকী ছবি।