মাসে বাঁধাধরা আয়। জমানোর তেমন সুযোগ নেই। আর জীবনও অনিশ্চিত। আজ আছে কাল নেই। কখনও ভেবেছেন আপনার অবর্তমানে কী হবে পরিবারের? মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ভবিষ্যতে কীভাবে খরচ তুলবেন? এই সব প্রশ্নের মোক্ষম দাওয়াই মেয়াদি বিমা বা টার্ম ইন্সিওরেন্স। মাসে বাঁধাধরা আয়ের ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্প। আর্থিক সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। কোনও ব্যক্তির আয়ের উপরে পরিবার নির্ভরশীল হলে তাঁর মেয়াদি বিমা করাই উচিত। চাকরি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে একটি মেয়াদি বিমার করান।
কেন মেয়াদি বিমা নেবেন? টার্ম ইন্সিওরেন্স সাধারণ জীবন বিমার মতোই। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লাইফ কভারেজ মেলে। মৃত্যু হলে পরিবার অর্থ পায়। প্রিমিয়াম কম। তবে লাইফ কভারেজের অঙ্কটা বেশি।
কোন বয়সে মেয়াদি বিমা করাবেন? ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে যে কোনও ব্যক্তি মেয়াদি বিমায় বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। তবে ২০-২৫ বছর বয়স আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ চাকরি জীবন শুরু হতেই মেয়াদি বিমা করান।
কম বয়সে সস্তায় বিমা- টার্ম ইন্সিওরেন্স কম বয়সে করালে প্রিমিয়ামের অর্থ অনেকটা কম হয়। ধরুন একই ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সে করলে যে প্রিমিয়াম দিতে হয় ২০ বছর বয়সে তার চেয়ে কম পড়ে।
ম্যাচিওরিটি বেনিফিট নেই- টার্ম ইন্সিওরেন্স খাঁটি জীবন বিমা। অর্থাৎ জীবিত থাকাকালে বিমাধারক কোনও পে-আউট পান না। ধরা যাক, ৩০ বছরের ব্যক্তি মেয়াদি বিমা করিয়েছেন। বিমার মূল্য ৫ কোটি। ৬০ বছর পর্যন্ত সময়সীমা। এই সময়ে শারীরিক অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হলে পুরো বিমাকৃত অর্থই পেয়ে যাবেন নমিনি বা উত্তরাধিকারী। কিন্তু ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে পাবেন না। আর মৃত্যুর পরেই বিমাকৃত অর্থ পেতে পারেন তাঁর নির্বাচিত নমিনি।
কম প্রিমিয়ামে বেশি কভারেজ- টার্ম ইন্সিওরেন্স কম প্রিমিয়ামে বেশি কভারেজ মেলে। এনডাউমেন্ট প্ল্যানে প্রিমিয়াম বেশি দিতে হয়। আর মেয়াদি বিমার তুলনায় অনেক কম কভারেজ পাওয়া যায়।