Vande Bharat Express: আজ, শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) ভার্চুয়াল উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সকাল ৮টা থেকেই টিকিট বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। IRCTC অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করা যাচ্ছে।
দেশজুড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) নিয়ে কৌতুহল আর উৎসাহ এখন তুঙ্গে। সপ্তাহে ছ'দিন চলবে এই ট্রেন। একমাত্র বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি সব দিনেই যাত্রীদের নিয়ে ছুটবে আধুনিক প্রযুক্তির এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন।
বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) রেকে যাত্রী নিরাপত্তায় থাকছে মোট ১০৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা। বসার আসনের নীচে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য থাকছে আলাদা মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট, বই পড়ার রিডিং লাইটের ব্যবস্থা।
ট্রেনে রয়েছে ভ্যাকুয়াম টয়লেট। বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্যেও রয়েছে হুইলচেয়ার, বিশেষ ভাবে তৈরি টয়লেট-এর মতো একাধিক ব্যবস্থা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) থাকছে স্লাইডিং ফুটস্টেপ আর মেট্রো রেকের মতোই অটোমেটিক দরজা।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) সব কামরায় রয়েছে ৩২ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে। কোনও রকম সমস্যায় যাত্রীরা বিমানের মতোই ট্রেনের চালকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন ‘টক ব্যাক’ ব্যবস্থার মাধ্যে।
শতাব্দী এক্সপ্রেসের চেয়েও কম সময়ে হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express)। এই রুটের মোট ৫৫৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে শতাব্দী ৮ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নেয়। বন্দে ভারত মাত্রা সাড়ে ৭ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাবে।
রেল জানিয়েছে, আপ ২২৩০১ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে। মাঝে শান্তিনিকেতন, মালদা টাউন আর বরসৌইয়ে থামবে।
ডাউন ২২৩০২ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুপুর ৩টো ৫ মিনিটে ছাড়বে আর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছবে। বন্দে ভারতে রাতভর ট্রেন-যাত্রার সম্ভাবনা নেই। তাই এই ট্রেনে স্লিপার ক্লাস নেই। ট্রেনে রয়েছে দু’রকম চেয়ার কার--একটি এসি চেয়ার কার, আর একটি এগ্জিকিউটিভ চেয়ার কার। ভাড়া যথাক্রমে ১,০২৩ টাকা আর ২,১১৩ টাকা (ভাড়ায় খাবারের খরচ ধরা নেই)।
বন্দে ভারতে যাত্রীদের চা-কফির পাশাপাশি লাঞ্চ বা ডিনারে খাবারও দেওয়া হবে। বাংলার যাত্রীদের জন্য বন্দে ভারতের মেনুতে থাকছে বিশেষ কিছু পদ। লুচি-আলুর দম, ছানার ডালনা, বাসমতি চালের ভাত, সোনা মুগের স্পেশাল ডাল, মাছের ঝোল, তরকারি, চিকেন কষা, ফিশ ফ্রাই, ক্ষীরকদম, নলেন গুড়ের সন্দেশের মতো একাধিক লোভনীয় পদ।