উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালমাটাল অবস্থা চলছিল। এর আগে ২০১৯ সালে মেধাতালিকা প্রকাশিত হলেও তা নিয়ে বিতর্ক হয়। হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মেধাতালিকা বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। নতুন করে নথি যাচাইয়ের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি সরকার।
গত ২১ জুন পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) ওয়েবসাইটে (www.westbengalssc.com) আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশের পর তাতে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তীতে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
২ জুলাই, ওই মামলার পরবর্তী শুনানিতে ইন্টারভিউ লিস্টে যে সব প্রার্থীর নাম রয়েছে, তাঁদের পাশাপাশি ভেরিফিকেশনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের ব্রেকআপ স্কোর আগামী ৭ দিনের মধ্যে (৯ জুলাই) কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিক (Upper Primary) শিক্ষক পদে চাকরির জন্য যাঁরা অনলাইনে নথি জমা দিয়েছিলেন বুধবার তাঁদের নম্বর এবং আনুষাঙ্গিক তথ্য প্রকাশের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)।
তবে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.westbengalssc.com) তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। গতকালই উচ্চ প্রাথমিক (Upper Primary) শিক্ষক পদের আবেদনকারীদের নম্বর এবং আনুষাঙ্গিক তথ্য প্রকাশের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, যে সকল প্রার্থীর নথি বা আবেদন বাতিল হয়েছে, তাঁদেরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। কী কারণে তাঁরা ডাক পাননি সেটাও জানাতে হবে ওয়েবসাইটে।