দেশজুড়ে যখন করোনার টিকা নিয়ে নানা অব্যবস্থা, অপচয় নিয়ে নানা খবর কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়ছে ঠিক তার উল্টো ছবিটাই!
একদিকে দেশের সর্বোত্র করোনা টিকার জন্য লম্বা লাইন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে বিভ্রান্তি! অন্যদিকে বাংলায় সুপরিকল্পিত ভাবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বেসরকারি বাসের সমস্ত শ্রমিকদের বিনামূল্যে করোনা টিকাকরণের উদ্যোগ।
১১ মে, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি পরিবহণ শ্রমিকদের (বাস চালক ও কন্ডাক্টর) একেবারে বিনামূল্যে করোনা টিকাকরণ শুরু করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
মঙ্গলবার মোট চারটি কেন্দ্র থেকে মোট ৩০০ জন বেসরকারি বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে। আজ সকাল ১০টা থেকেই শুরু হচ্ছে এই টিকাকরণ পর্ব।
রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক (জেনারেল সেক্রেটারি) তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বেসরকারি বাসের শ্রমিকদের আয় সামান্যই। তার উপর এই করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজ্যের গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই গরীব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর এই সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
তপনবাবু জানান, রাজ্যের পরিবহণ দফতরে বেসরকারি বাসের শ্রমিকদের করোনার টিকাকরণ নিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল। একটুও বিলম্ব না করে রাজ্যের ট্রান্সপোর্ট ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ দত্ত এক সপ্তাহ আগেই এর পরিকল্পনা সূচি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক জানান, আজ সকাল ১০টা থেকে ধর্মতলার KMC তাবু, সল্টলেক বাস ডিপো, তারাতলা বাস ডিপো আর হাওড়া বাস ডিপো থেকে মোট ৩০০ জন বেসরকারি বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে।
টিকা নেওয়া জন্য বেসরকারি বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের আধার কার্ড, কমার্শিয়াল লাইসেন্স, কন্ডাক্টর লাইসেন্স সঙ্গে আনা বাধ্যতামূলক। বলা বাহুল্য, এই টিকা নেওয়ার জন্য বেসরকারি বাসের শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের তালিকায় অপেক্ষা করতে হয়নি। বিনামূল্যের ভ্যাকশিনের ডোজ পেয়ে বেসরকারি বাসের শ্রমিকরাও খুশি!